বিপ্লব পাল : রাজনীতিবিদদের জেল খাটা আমেরিকাতে প্রায় ঘটে। সম্প্রতি নিউ অর্লিন্সের প্রাত্তন মেয়র দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে দশ বছর জেল খাটতে চললো। চিদাম্বরমকে নিয়ে রাজনীতিটা দেখুন। বিজেপি এবং কংগ্রেস দুজনের পজিশন শুধু হতাশা জাগায়। চিদাম্বরম, তার ছেলে, তার বউ... যেখানেই আর্থিক কেলেঙ্কারি... সেখানেই তাদের আশপাশে দেখা যায়। এটা কি কাকতলীয় হতে পারে?
অন্যদিকে বিজেপিকে দেখুন। কাকে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী করেছে? বিজেপি করলে সাতখুন মাপ। ইডি খুন করলেও দেখবে না। ফলে দলে দলে দাগী রাজনীতিবিদরা বাঁচার জন্য বিজেপিতে জয়েন করছে। এতে কি বিরোধী দুর্বল হবে? উল্টো। বিজেপির খাঁটি সমর্থকরাই বসে যাবে। এক পার্টির সরকার চললে কি হয় পশ্চিমবঙ্গের লোকজন ভালোই জানে। এই যে মুকুল রায় ভয় দেখিয়ে, লোভ দেখিয়ে যাদের তৃণমূলে জয়েন করিয়েছিলো তাদের রাখা গেলো কি? তারাই ত ব্যাকস্টাব করেছে আগের ইলেকশনে।
দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদের কোনো আইডিওলজি থাকে না। তারা পার্টিতে আছে ¯্রফে টাকার জন্য। বিজেপি যতোদিন না তার পার্টির সেইসব লোকগুলোকে তাড়াতে পারবে, চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে অভিযানে চিড়ে ভিজবে না। সুসমা স্বরাজ, অরুণ জেটলির মতো শীর্ষ নেতারা ইচ্ছা করলে অনেক টাকা কামাতে পারতেন। এদের গায়ে দেখবেন দাগ নেই। বিজেপির আদর্শ ভুল হোক, ঠিক হোক... একটা সময় কিন্তু ছিলো এদের মধ্যে সৎ নেতার অভাব ছিলো না। আগে দিল্লিতে কান পাতলে শোনা যেতো, সিপিএমের নেতারা সব থেকে বেশি সৎ, বিজেপির মধ্যেও অনেক সৎ দেশভক্ত আছে, কিন্তু কংগ্রেস মানেই চোর। সিপিএম বা বিজেপির আদর্শের সঙ্গে আমি একমত নই, কিন্তু পার্টিগুলো একটা সময় আদর্শবাদী সৎ লোকে চালাতো। এখন সবই ইতিহাস। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :