হ্যাপি আক্তার : গত সাড়ে ৭ মাসে ৭টি বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে ঢাকার পুঁজিবাজারে। বিশ্লেষকরা বলছেন, একই খাতের স্থানীয় কোম্পানির সঙ্গে ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতায় আয় কমছে বহুজাতিকের। আর লভ্যাংশে যোগ হয়েছে বোনাস শেয়ার, তাই যৌক্তিক কারণেই দর কমেছে। ডিবিসি নিউজ ৯:০০
অন্যদিকে সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই বেশিরভাগ দুর্বল কোম্পানির শেয়ারদর বাড়ছে বর্তমান বাজারে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বহুজাতিক কোম্পানি আছে ১২টি। সাধারণত এসব কোম্পানির দর খুব বেশি ওঠানামা না করলেও এই সময়ের চিত্রটি ভিন্ন। জানুয়ারির তুলনায় এখনো পর্যন্ত দাম কমেছে ৭টি বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ারের।
তবে, আরেক বহুজাতিক কোম্পানি জিএসকে বাংলাদেশে ব্যবসা গোটানোর ঘোষণা দিলেও উল্টো দর বাড়ছে বাজারে। গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন কোম্পানির জানুয়ারিতে সর্বোচ্চ দর ১৪৩২.৯০ এবং ২২ আগস্ট দর ১৬১৬.৪০ ছিলো।
বিশ্লেষকরা বলছেন, একই খাতের স্থানীয় কোম্পানির সঙ্গে তীব্র ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতায় আয় কমছে বহুজাতিকের। তাই শেয়ার দরও কমছে। আর ব্যাটবিসির দর বেশি কমলেও লভ্যাংশ ঘোষণার পর যৌক্তিক দরের কাছাকাছি অবস্থানে ফিরেছে।
ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকাজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শরীফ রহমান বলেন, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো এখনো খারাপ হয়নি। এখনো তারা প্রফিটে আছে। এখন অনেক লোকাল কোম্পানি বাজারে আছে যারা অনেক অ্যাক্টিভ। মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হচ্ছে। যে কারণে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো আনলিমিটেড ঝামেলায় পড়ছে।
তিনি আরো বলেন, গ্লাস্কো কিনেছে জায়ান্ট কোম্পানি ইউনিলিভার, এখন দেখার বিষয় হচ্ছে তারা ব্যবসাটা করবে কিনা। তবে পুরো বাজারের দুর্বল কোম্পানির শেয়ারদরের খুব বেশি প্রভাব না থাকায় আশঙ্কার কিছু নেই। যারা বাজারে দুই শতাংশ দখল করে আছে তারা ১০ শতাংশ বাড়লেও তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না।
ডিএসই ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশানের সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমেদ সাদেক বলেন, এভাবে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর দর কমলে তার ধাক্কা লাগে পুরো বাজারের মূল্যসূচকের ওপর। মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির পণ্যের ওভারপ্রাইস ছিলো তবে, এখন অনেক কমে এসেছে। ফলে সূচকও নেমে এসেছে। এখন যে দামে চলছে তাও যথেষ্ট ভালো।
তিনি আরো, কমতির দিকে শেয়ারগুলো মানুষ ক্রয় করে, কারণ তারা মনে করে এর দাম যদি ৫০ পয়সাও বাড়ে তবে তারা কিছু টাকা পাবে, এক্ষেত্রে আমরা যারা কিনে দেই তারাও কিছুটা দায়ী।
এদিকে ঈদের ছুটির পর ঢাকার পুঁজিবাজারে সূচকে উর্ধ্বগতি এলেও দুর্বল কোম্পানির শেয়ারদরও বাড়ছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে এখন আর্থিকভাবে দুর্বল জেড ক্যাটাগরিতে রয়েছে ৪২টি কোম্পানি। সম্পাদনা : রাশিদ/কায়কোবাদ মিলন
আপনার মতামত লিখুন :