লীনা পারভীন : সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর চেয়ে উত্তম সংবাদ আমার কাছে এই মুহূর্তে আর কিছু নেই। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সমস্যার অন্ত নেই তারপরও সাধারণের সন্তানদের পড়াশোনা করার একমাত্র সহজলভ্য উপায় হচ্ছে এই সরকারি স্কুলগুলো। সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে এভাবেই আগাতে হবে আমাদের। অনেকদিন আগেই সংবাদটা দেখেছিলাম যে স্কুলগুলোতে ছাত্রদের যৌন শিক্ষা দেয়া হচ্ছে এবং সেটা সম্পূর্ণ আধুনিক পদ্ধতিতে যেখানে শিক্ষকরা অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশেই বাচ্চাদের বাস্তব বিষয়গুলো শেখানোর চেষ্টা করছেন। আশা করছি শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তনগুলো এভাবেই আসবে।
বিদ্যুতের তারগুলো মাটির নিচ দিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। বিদ্যুতের এবং টেলিফোন/ইন্টারনেটের তারের যে সহাবস্থান দেখা যায় রাস্তাঘাটে যেখানে আসলে চিহ্নিত করা সম্ভব হয় না যে, কোনটা কিসের তার এবং যেকোনো সমস্যার সমাধানে ঘটে যায় বিপত্তি আর ঝড় বৃষ্টি বাদলে নেমে আসে মৃত্যুর মতো বিপদ। সৌন্দর্যের কথাটা না হয় বাদই দিলাম। এই যে নীরবে পরিবর্তনগুলো ঘটে যাচ্ছে সেগুলো হয়তো আমাদের প্রাপ্য, কিন্তু পেতাম কী? পেয়েছিলাম কী? বা ধরেন একজন নেতার যদি সেই দৃষ্টিটাই না থাকে বা ভবিষ্যৎ দেশ ভাবনা বা দেশকে নিয়ে সুদূরের পরিকল্পনা না থাকে তবে জনগণের ভাগ্যে সেসব পাওয়া কেবল কল্পনাই থেকে যায়।
সেজন্য বলছিলাম, সমালোচনা করার পাশাপাশি এই বিষয়গুলোকে নিয়েও যেন গর্ব করতে পারি আমরা। অনেক হতাশা আর অন্ধকারের মাঝে এগুলো একটু একটু করে পাওয়া আশার আলো সঞ্চার করে। সমালোচনা বা এই ভালো কাজগুলো সফল হবে কী হবে না এই আশঙ্কা তো থেকেই যায় যেহেতু আমাদের প্রশাসনিক ব্যবস্থাটি এখনো আশা জাগানোর মতো জায়গায় পৌঁছেনি। দুর্নীতির করাল গ্রাস ছেয়ে রেখেছে গোটা দেশের সব সেক্টরকে। তবে আমি মনে করি আমরা নিজেরা যদি সচেতন হই এবং এসব ভালো কাজের রক্ষক ও প্রহরী হতে পারি তবে কেউ অন্যায় করে বা খাবারের টাকা মেরে পার পাবে না। তাই দিন শেষে আমার সব ভরসা শেখ হাসিনা। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :