ইমরুল শাহেদ : আজ ১৪ আগস্ট বুধবার স্বাধীনতা দিবসকে ‘কাশ্মীর সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করছে পাকিস্তান। ভারত গত ৫ আগস্ট অধিকৃত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ করার পর পাকিস্তান সরকার সংহতি দিবন পালনের এ ঘোষণা দিয়েছে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভি বলেছেন, পাকিস্তান বরাবরই কাশ্মীরিদের পাশে ছিল এবং থাকবে। ইসলামাবাদের কনভেনশন সেন্টারে পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট আলভি বলেন, বিশ্ববাসী আজ দেখছে পাকিস্তান কিভাবে কাশ্মীরি ভাইদের পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা কোনো ভাবেই কাশ্মীরিদের একা ছেড়ে যাব না। কাশ্মীরিরা আমাদেরই মানুষ। তাদের দুঃখ যন্ত্রণা আমাদেরই দুঃখ-যন্ত্রণা।’ ডন
অনুষ্ঠানে অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনার অ্যাসেম্বলির স্পিকার আসাদ কায়সার, সিনেট চেয়ারম্যান সাদিক সানজরানি এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য বিষয়ক প্রধান সহকারী ফেরদৌস আশিক আওয়ান।
কাশ্মীরের বন্দি নেতা মোহাম্মদ ইয়াসিন মালিকের স্ত্রী মাশাল মালিকও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বক্তৃতা দেওয়ার পাশাপাশি কাশ্মীরী জনগণের স্বাধীনতা আন্দোলনকে নিয়ে লেখা স্বরচিত একটি কবিতাও পাঠ করে শোনান।
পাকিস্তানের ডন অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আজ মুজাফফরাবাদ যাচ্ছেন এবং তিনি সেখানে আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরের অ্যাসেম্বলিতে বক্তৃতা করবেন।
স্বাধীনতা দিবসে পাকিস্তান সরকার একটি বিশেষ লোগো প্রকাশ করেছে। তাতে লেখা রয়েছে ‘কাশ্মীর বনেগা পাকিস্তান’ অর্থাৎ কাশ্মীর হবে পাকিস্তানের অংশ। লোগোর হরফগুলো ছিল লাল, যা ‘কাশ্মীর সংহতি দিবস’ বিষয়টির সঙ্গে সংহতিপূর্ণ।
আগামীকাল ভারতের স্বাধীনতা দিবস। কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে পাকিস্তান এই দিবসটিকে কালো দিবস হিসেবে পালনের ঘোষণা দিয়েছে।