নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাচকের পদে ২০১৬ সালে তিন বছরের জন্য দায়িত্ব পান সাবেক অধিনায়ক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। তিন সদস্যের এই নির্বাচক প্যানেলে তার ডেপুটি ছিলেন হাবিবুল বাশার সুমন ও সাজ্জাদ আহমেদ শিপন। কিন্তু দায়িত্ব নেয়ার এক বছরের মাথায় সাজ্জাদ শিপন সরে দাঁড়ালে, শ্রীলঙ্কা সফর পর্যন্ত টাইগারদের দল নির্বাচনের কাজ করেছেন মূলত এই দু’জনই। তবে এ পদে আবারও থাকার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন নান্নু। গেল তিন বছর মেয়াদে টাইগারদের ব্যর্থতার তুলনায় সফলতার হার বেশি দাবি করে এই আগ্রহের কথা জানান তিনি। এদিকে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে বাংলাদেশ ‘এ’ দল হারলেও, পাইপলাইনের জন্য তা উদ্বেগজনক নয় বলে মন্তব্য করেন প্রধান নির্বাচক।
নান্নু ও বাশারের নির্বাচিত দল নিয়ে এ সময়ে টাইগাররা ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে ৫৮টি। টেস্ট এবং টি-২০তে এই সফলতার হার আরও কম। লংগার ভার্সনে ২৮.৫৭ এবং শর্টার ফরম্যাটে মাত্র ২৬ শতাংশ। তারপরও নিজেদের সফল দাবী করে নির্বাচক প্যানেলে আবারো থাকার আগ্রহ প্রকাশ করেন সাবেক এই অধিনায়ক। তবে মাঝে বেশ গুঞ্জন উঠেছিলো নতুন কিছু নাম যুক্ত হবে নির্বাচক প্যানেলে। খালেদ মাসুদ পাইলট, হান্নান সরকার এবং এহনানুল হক সেজানদের নামও শোনা গিয়েছিলো।
হতাশার খবর আছে আরও। তামিমরা যখন লঙ্কা সফরে ব্যস্ত, তখন একটা ছায়া জাতীয় দল নিয়েও আফগানিস্তান এ দলের বিপক্ষে নিজেদের মাটিতে খাবি খাচ্ছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। পাইপ লাইনে পর্যাপ্ত ক্রিকেটার না থাকায়, এই বিপর্যয় কি’না? এমন প্রশ্নে দ্বিমত পোষণ করেন প্রধান নির্বাচক।
তবে এ দল সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ব্যর্থ হলেও, ভারতে লংগার ভার্সনে বিসিবি একাদশ ভালো করছে। যা টেস্ট ক্রিকেটের জন্য ইতিবাচক বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচক।
সম্পাদনা : রাশিদুল ও রেজাউল আহসান
আপনার মতামত লিখুন :