হ্যাপি আক্তার : মৌলভীবাজারের বন্যাদুর্গত কিছু এলাকা ও আশ্রয়কেন্দ্রে ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। পরিবার প্রতি ১০ কেজি করে চাল দেয়ার কথা থাকলেও তা পাচ্ছেন না। ইনডিপেডেন্ট টেলিভিশন, ৮:০০।
তবে, জনপ্রতিনিধিরা এর দায় চাপাচ্ছেন খাদ্য অধিদপ্তরের ওপর।
মৌলভীবাজারের পাঁচ উপজেলার শতাধিক গ্রামের মানুষ বন্যার কবলে। পানি নামতে শুরু করলেও খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে দুর্ভোগে বানভাসিরা।
দুর্গতদের সহায়তায় পরিবার প্রতি ১০ কেজি চাল ও নগদ টাকা দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে, ত্রাণের চাল কম দেয়ার অভিযোগ করছেন অনেকে। উঠছে টাকা না পাওয়ার অভিযোগও।
দুর্গতরা বলেন, যে পরিমাণ চাল দেয়ার কথা তার থেকে কম দেয়া হচ্ছে। তাছাড়া টাকা দেয়ার কথা থাকলে তা দেয়নি। আবার অনেকে ত্রাণও পাননি।
বন্যা দুর্গতদের চাল কম পাওয়ার অভিযোগ স্বীকার করলেও খাদ্য অধিদপ্তরের ওপর দায় চাপালেন কমলগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাসেল আহমদ তরফদার। তার দাবি, বস্তায় চাল কম আসছে। এছাড়া বরাদ্দের তুলনায় ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা বেশি হওয়ায় চাল কম দিতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আশেকুল হক বলেন, বানভাসি মানুষের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে। ত্রাণ পায়নি এমন তথ্য পেলে নতুন করে দেয়া হবে। এরপরও কোনো অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রশাসন জানিয়েছে, মৌলভীবাজারের বন্যাদুর্গতদের জন্য এ পর্যন্ত ৬শ ৫০ টন চাল, সাড়ে ৯ লাখ টাকা, ৭ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। সম্পাদনা : কাজী নুসরাত/রাজু আহ্সান
আপনার মতামত লিখুন :