জয়নুল আবেদীন,(আমতলী) বরগুনা : লেখাপড়া করতে বাঁধা দেয়ায় স্বামী কিরণ চন্দ্র শীলের সাথে অভিমান করে বিয়ের তিন মাসের মাথায় স্ত্রী কেয়ামনি (১৭) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার গাজীপুর বন্দরে বৃহস্পতিবার রাতে।
জানা গেছে, উপজেলার গাজীপুর বন্দরের মৃত কৃষ্ণ চন্দ্র শীলের কন্যা কেয়ামনি এ বছর এপ্রিল মাসে পার্শ্ববর্তী হলদিয়া ইউনিয়নের রাওঘা গ্রামের রবিন চন্দ্র শীলের ছেলে কিরণ চন্দ্র শীলের সাথে বিয়ে হয়। কেয়ামনি এ বছর গাজীপুর বন্দর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করে। কিন্তু স্বামী কিরণ চন্দ্র শীল স্ত্রী কেয়ামনিকে লেখাপড়া করাতে রাজি ছিল না। স্বামীকে না জানিয়ে গত মাসে বকুলনেছা মহিলা কলেজে ভর্তি হয় কেয়ামনি। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিরোধ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্ত্রী কেয়ামনি স্বামী কিরণের সাথে লেখাপড়ার বিষয় নিয়ে মোবাইল ফোনে বাকবিতণ্ডা হয় বলে জানান হরিচরণ শীল। স্বামীর সাথে অভিমান করে ওইদিন রাত সাড়ে ৮ টার দিকে কেয়ামনি দাদার বাড়ির বারান্দায় ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন।
দাদা হরিচরণ শীল নাতনিকে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় আমতলী থানায় একটি অপমৃত্যূ মামলা হয়েছে। শুক্রবার সকালে পুলিশ লাশের ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরণ করেছেন।
আমতলী থানার ওসি মো. আবুল বাশার বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সম্পাদনা : মিঠুন রাকসাম
আপনার মতামত লিখুন :