শিরোনাম
◈ পিআর পদ্ধতি কী, কেন প্রয়োজন ও কোন দেশে এই পদ্ধতি চালু আছে?" ◈ ইসরায়েলি হামলায় ৪৩৭ ফুটবলারসহ ৭৮৫ ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদের মৃত্যু ◈ পশ্চিম তীরে দখলদার ইসরায়েলিদের সাথে তাদেরই সেনা জড়ালো সংঘর্ষে! (ভিডিও) ◈ আমদানি-রপ্তানিতে এনবিআরের নতুন নিয়ম: বাধ্যতামূলক অনলাইন সিএলপি দাখিল ◈ জুলাই স্মরণে শহীদ মিনারে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন (ভিডিও) ◈ জুলাই বিদ্রোহ: কোটা সংস্কার থেকে গণঅভ্যুত্থান ◈ ভারতের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা বললেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল ◈ ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন ◈ ১৮ জুলাই নতুন দিবস ঘোষণা ◈ ডিসি-এসপি কমিটি ও ইভিএম বাদ, ভোটকেন্দ্র স্থাপনে নতুন নীতিমালা জারি করলো ইসি

প্রকাশিত : ১১ জুলাই, ২০১৯, ০১:৩৩ রাত
আপডেট : ১১ জুলাই, ২০১৯, ০১:৩৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পুরুষদের চেয়ে বেশি কর দিলেও বেতন বৈষম্যে শিকার বিশ্বকাপজয়ী মার্কিন নারী ফুটবলাররা

আক্তারুজ্জামান : আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে নারী-পুরুষের আয় বৈষম্য নতুন কিছু নয়। তবে বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই পুরুষদের তুলনায় নারীদের ক্রীড়া ক্ষেত্র থেকে আয় কম । কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের নারীরা এ দিক থেকে আরো দুর্ভাগ্যের শিকার । তাদের দেশে পুরুষদের তুলনায় নারীদের ফুটবল থেকে সরকারের বেশি আয় হয়। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, গত তিন বছর নারী ফুটবলাররা বেশি কর দিয়েও পুরুষদের চেয়ে কম বেতন পান। তাদের বেতন বৈষম্য এখনো কমেনি। এ বিষয়ে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ অর্থনৈতিক দৈনিক ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল।

যুক্তরাষ্ট্র ফুটবল ফেডারেশনের বরাত দিয়ে ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, ২০১৬ সালে পুরুষদের চেয়ে নারীদের ফুটবল থেকে ১৯ লাখ মার্কিন ডলার বেশি কর দিয়েছিলেন। সেই তুলনায় ২০১৬ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত পুরুষ ফুটবল দলের সদস্যরা কর দিয়েছেন মাত্র ৪ কোটি ৯৯ লাখ মার্কিন ডলার, সেখানে নারী দলের করের পরিমাণ ছিলো ৫ কোটি ৮ লাখ মার্কিন ডলার।

এই নিয়ে ইতিমধ্যে নিজ দেশের ফুটবল ফেডারেশনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ২৮ মার্কিন নারী ফুটবলার। চলতি বছরের মার্চ মাসে ইউএসএসএফের বিরুদ্ধে ওই নালিশ করেন তারা।

ওই মামলায় উল্লেখ আছে নারী-পুরুষ বেতন বৈষম্যের নজিরের কথা। যেখানে পুরুষ দলের ফুটবলাররা কোনও টুর্নামেন্ট খেলার পর প্রতি ম্যাচের ফি পান ১৩ হাজার ১৬৬ মার্কিন ডলার। সেখানে প্রত্যেক নারী ফুটবলার পান মাত্র ৪ হাজার ৯৫০ মার্কিন ডলার। অর্থাৎ একই ধরনের টুর্নামেন্ট খেলে ম্যাচ ফি থেকে ৯ হাজার ডলার কম নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় প্রত্যেক নারী ফুটবলারকে।

তাছাড়া আরও বৈষম্যের চিত্র তুলে ধরে নারী ফুটবলাররা ওই মামলায় উল্লেখ করেন, ২০১৩ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত জাতীয় দলের নারী ফুটবলাররা আয় করেন মাত্র ১৫ হাজার মার্কিন ডলার। আর শুধু ২০১৮ সালেই পুরুষ ফুটবলারদের আয় ৬৮ হাজার ৭৫০ মার্কিন ডলার। মামলার প্রেক্ষিতে মার্কিন ফুটবল ফেডারেশন জানিয়েছে, বেতনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করতে হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কর প্রদান ও অন্যান্য সুবিধার কথা ভাবা হয়, কিন্তু লিঙ্গভেদে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়া হয় না।

অন্যদিকে জার্নাল জানাচ্ছে ভিন্ন কথা। তারা বলছে, টিকিট বিক্রির অর্থ বেতনের অন্যতম উৎস। তাছাড়া প্রচারস্বত্ত্ব বিক্রি করেও তারা অনেক অর্থ পেয়ে থাকে। ওগুলো থেকেই বেতন দেয়া হয়। আর নারী-পুরুষ দুই টুর্নামেন্টের প্রচারস্বত্ত্ব এক সাথেই বিক্রি করা হয়। তাই কোনটার মূল্য কম বা বেশি সেটা বের করা অনেক কঠিন।’

মার্কিন ফুটবল ফেডারেশনের কাছে একটি প্রস্তাবও দিয়েছে দেশটির নারী ফুটবলার অ্যাসোসিয়েশন। তারা বেতন বৈষম্য কমানোর জন্য ‘মার্কেট রিয়েলিটিস’ তত্ত্ব ব্যবহারের কথা বলেছে। সেখানে বলা হয়েছে ফুটবলারদের প্রদেয় করের ভিত্তিতে বেতন দেয়া হোক। তাহলেই বৈষম্য কমে আসবে। দেশটির পুরুষ ফুটবলাররাও নারীদের এই প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে। সম্পাদনা : নূর মাজিদ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়