শিরোনাম
◈ ভারত–বাংলাদেশ নিরাপত্তা সংলাপ: দুই দিনের বৈঠকে ‘ইতিবাচক বার্তা’ ◈ পেশাগত নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও কর্মক্ষেত্র নিরাপত্তায় বৈপ্লবিক অগ্রগতি—আইএলওর ১০টি মৌলিক দলিল অনুমোদন করলো বাংলাদেশ ◈ প্রবাসী ভোটারদের রেকর্ড সাড়া—পোস্টাল ভোট অ্যাপে কোরিয়া-জাপান এগিয়ে ◈ সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে সম্মতি খালেদা জিয়ার ◈ আজ সশস্ত্র বাহিনী দিবস ◈ চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে চুক্তির সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ ◈ শ্রীলঙ্কাকে ৬৭ রা‌নে হারা‌লো  জিম্বাবুয়ে  ◈ রায়ের পর হাসিনাকে ফেরত দেয়ার দাবি জোরালো হচ্ছে ◈ রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি, চার মাসে এলো এক লাখ ১৯ হাজার কোটি টাকা ◈ প্রবাসী ভোটারদের সতর্কতা: ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর না দিলে পোস্টাল ভোট বাতিল

প্রকাশিত : ০৩ জুলাই, ২০১৯, ০৬:১২ সকাল
আপডেট : ০৩ জুলাই, ২০১৯, ০৬:১২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে হামলা মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ২৫ জনের যাবজ্জীবন

মহসীন কবির: প্রায় ২৫ বছর আগে পাবনার ঈশ্বরদীতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তৎকালীন বিরোধী দলের নেতা শেখ হাসিনার  ট্রেনবহরে গুলিবর্ষণ ও হামলা মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ১৩ জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।  সাজাপ্রাপ্তরা সবাই বিএনপির নেতাকর্মী। ৩ জুলাই বুধবার দুপুর ১২টার দিকে পাবনার অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক রুস্তম আলী এ রায় ঘোষণা করেন।

এ মামলায় ৫২ আসামীদের মধ্যে মারা গেছেন ৫ ও পলাতক রয়েছেন ১৫ জন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- ঈশ্বরদির সাবেক পৌর মেয়র ও বিএনপি নেতা মোখলেসুর রহমান, ইশ্বরদী পৌর বিএনপির সভাপতি জাকারিয়া পিন্টু, ইশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আখতারুজ্জামান প্রমুখ।

গত সামবার দুপুরে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শোনার পর বিচারক আজ রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। এ মামলার আসামিরা হচ্ছে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা।

গত ৩০শে জুন এ মামলায় বিএনপির ৩০ নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠান আদালত। এছাড়া আদালতে হাজিরা না দেয়ায় এদিন বিএনপির আরও ২২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

জানা গেছে, ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উত্তরাঞ্চলে দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহনের জন্য ট্রেনে করে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। ট্রেনটি পাবনার ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে প্রবেশের সময় ট্রেনবহরকে লক্ষ্য করে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা অতর্কিত গুলি, বোমাবর্ষণ ও হামলা চালায়। ওই সময় পুলিশ স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে গেলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করেও বোমা নিক্ষেপ করে। বোমার আঘাতে তৎকালীন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনসহ পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় ঈশ্বরদী রেলওয়ে পুলিশ বাদী হয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে মামলা করে। পরে মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়।

দীর্ঘ তদন্তে শেষে এ মামলায় ৫২ জনকে আসামি করে আদালতে চূড়ান্ত অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২৪ বছর ৯ মাস ৯ দিন পর আগামী বুধবার এ মামলার রায় হতে যাচ্ছে। এ মামলার আসামির মধ্যে ৫জন মারা যায়। গত রোববার দুপুরে এ মামলার ৩০ জন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক রুস্তম আলী তাঁদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠান। বাকি আসামিরা আদালতে হাজির না হওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়