মাহফুজুর রহমান : ১৯৯৬ সালে যখন সরকার গঠন নিয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপি খুব অস্থির, স্বতন্ত্ররাও তখন কোনদিকে যাবে সেইটা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দে, বিএনপি তখন জামায়াত যোগ করেও সরকার গঠন করতে পারে না, দুদলই ১৫১ হতে সামান্য কম, সরকার তখন তত্ত্বাবধায়ক, আর এরশাদ তখন জেলে। দুদলই জেলে গিয়ে লবিং। যা হোক এরশাদ জেলে থেকেই আওয়ামী লীগকে সাপোর্ট দিলেন, আওয়ামী লীগ ২১ বছর পরে ক্ষমতার স্বাদ পেলো। এরপরে জাতীয় পার্টির ছেড়ে দেয়া আসনগুলোতে উপনির্বাচন হলে সরকারি প্রভাব খাটিয়ে ভোট ডাকাতি করে নৌকার সদস্য ১৫১-এর উপরে করলে আওয়ামী লীগেরে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি! তারা স্বর্গের সিঁড়িতে! আজ অবশ্য পুরাই স্বর্গে। এরপরে আওয়ামী লীগের মহানুভবতায় এরশাদ জেল থেকে দীর্ঘ ৬ বছরের কারাবাস থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে বাইরের আলো বাতাসে যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলেন।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিলো যে, তিনি কেন আওয়ামী লীগকে সাপোর্ট দিলেন... ১. জেল থেকে মুক্তির আশায়? ২. নাকি ১৯৮৬ সালের প্রতিদান আওয়ামী লীগকে দিতে? এরশাদ উত্তর দিলেন... কোনোটিই নয়, উনারা তো সবাই জেলে লবিং করেছিলেন, নানা লোভ দেখেছিলেন, রাষ্ট্রপতিও বানাতে চেয়েছিলেন, কিন্তু আমি তো ৯ বছর প্রেসিডেন্ট ছিলাম। আমাকে মানুষ দেখেছে, বিএনপিকেও মানুষ দেখলো। আসলে ২১ বছর আগে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিলো, ইয়াং জেনারেশন আওয়ামী লীগ সম্পর্কে জানে না, আওয়ামী লীগকে চিনেও না। আওয়ামী লীগকে সাপোর্ট দেয়ার অর্থ আওয়ামী লীগকে তারা চিনুক, জানুক, দেখুক। তাছাড়া তারা ক্ষমতায় আসতে না পারলে দেশ অস্থির হতো, রাজনীতি অস্থির হতো। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :