শিরোনাম
◈ ওড়না কেড়ে নিয়ে পুরুষ কর্মকর্তাদের উল্লাস, নারী বন্দিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ◈ রেকর্ড উৎপাদনের সুফল কোথায়? চালের বাজারের চালকের আসনে কারা? ◈ পবিত্র আশুরা আজ ◈ তরুণ ক্রিকেটার তানভীরের ফাইফারে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ ◈ 'শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দখল করেছে জামায়াত': গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ◈ ১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি (ভিডিও) ◈ মোবাইল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিস থেকে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি ◈ জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেওয়ার শক্তি কারো নেই: কেরানীগঞ্জে বিএনপি সমাবেশে সালাহ উদ্দিন আহমদের হুঁশিয়ারি ◈ তুর্কমেনিস্তানকে কাঁ‌পি‌য়ে দি‌লো বাংলা‌দেশ, এশিয়ান কাপে যাচ্ছে ঋতুপর্ণারা ◈ চী‌নে জু‌নিয়র হ‌কি‌তে একদিনে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী দ‌লের জয়

প্রকাশিত : ২৫ জুন, ২০১৯, ০৮:৩৪ সকাল
আপডেট : ২৫ জুন, ২০১৯, ০৮:৩৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যে ভুলগুলোর জন্য মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হতে পারেন

মুসবা তিন্নি : শরীরের তাপমাত্রায় সামান্য ব্যথা কিংবা পেটে একটু মোচড় দিলেই আমরা অনেকেই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাই। তেমনি খাই সাধারণ কিছু অসুখবিসুখ সারানোর চেনা ওষুধ। আসলে ব্যস্ততা ও অসচেতনতার কারণেই আমরা এমনটা করি। কিন্তু এমন করা ঠিক নয়। এর ফলে আমরা মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হতে পারি।

অ্যান্টিবায়োটিকে কোনো অসুখ একটু সারলেই ব্যস, পুরো অ্যান্টিবোয়োটিকগুলোর কোর্স শেষ করি না। আমাদের দেশে ঘরে ঘরে এই একই চিত্র চিকিৎসকদের উদ্বিগ্ন করে তুলছে। যখন তখন অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার শেষ না টানলে কী ক্ষতি অপেক্ষা করছে তা জেনে নিন।
কেবল বাংলাদেশে নয়, গোটা বিশ্বেই যখন ইচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কোর্স না শেষ করে মাঝ পথেই ওষুধ থামিয়ে দেওয়ার বদভ্যাস। আর এ নিয়েই চিন্তিত চিকিৎসকরা। ‘সুপারবাগ’-এর হানায় চিন্তায় গবেষকরাও।
আপনার এই মুড়িমুড়কির মতো অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া, সেই ওষুধের নির্দিষ্ট কোর্সটি শেষ না করা, এই সবই ধীরে ধীরে ডেকে আনছে এই রোগকে, এমনটাই মনে করছেন চিকিৎসক মহল। ব্যস্ততার জীবনে এই অসুখ ডেকে আনার প্রবণতা নিয়ে চিন্তায় চিকিৎসকরাও।
শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী শক্তি নিয়েই হানা দিচ্ছে যে সব ব্যাকটেরিয়া, ‘ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল’ (ইসিডিসি)-এর গবেষকরা তাদের নাম দিয়েছেন ‘সুপারবাগ’! ইউরোপ মহাদেশে সুপারবাগের প্রকোপে প্রতি বছর ৩৩ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে!
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাটাকেই আসলে মেরে ফেলছি আমরা। ঘন ঘন অ্যান্টিবায়োটিক পড়ায় অসুখের ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াও সে সব অ্যান্টিবায়োটিকের সঙ্গে লড়াই করার জন্য নিজেদের বিবর্তিত করে নিতে পারছে।

সোজা কথায় ব্যাখ্যা করলে বলা যায়, অবৈজ্ঞানিকভাবে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের কারণে শরীর হারাচ্ছে জীবাণুর সঙ্গে বুঝে যাওয়ার ক্ষমতা। তাই আজকাল ভাইরাল ফিভার থেকে শুরু করে একটু অচেনা ব্যাকটেরিয়ার হানা রুখতে পারছে না শরীর। ফলে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটছে।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রায় ৭০ শতাংশ ব্যাকটেরিয়া মারতে আর অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করছে না। অথচ ব্যাকটেরিয়া থেকে সংক্রমণ হলে তো অন্য কোনো উপায়ও নেই। তখন ওই সংক্রমণটিই চরম আকার ধারণ করছে। ‘ল্যান্সেট ম্যাগাজিন ইনফেকশস ডিজিজেস’ নামে একটি রিপোর্টে জানাচ্ছে যক্ষ্মা বা এইচআইভি-এর থেকে কিছু কম ভয়ঙ্কর নয় এই রোগ। এবং শুধু ইউরোপ নয়, সারা বিশ্বেই ধীরে ধীরে থাবা বসাচ্ছে এই রোগ। আমাদের দেশে প্রতি বছরই এমন কিছু ব্যাকটেরিয়াঘটিত অসুখের দেখা মেলে, যা প্রায় কোনো রকম অ্যান্টিবায়োটিকেই আয়ত্তে আসে না।

অ্যান্টিবায়োটিক থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে চলা ব্যাকটেরিয়ারা মোট পাঁচ ধরণের সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে মত চিকিৎসকদের। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ঘাটতি থেকে রোগী আক্রান্ত হন হাসপাতালের ভিতরে। এমন অনেক সংক্রমণ রয়েছে যেখানে অ্যান্টিবায়োটিকই শেষ কথা, সুপারবাগ সেই অ্যান্টিবায়োটিককে নিস্ক্রিয় করে দিচ্ছে।

চিকিৎসকদের মতে, অ্যান্টিবায়োটিক নির্ভর জীবন থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়। শুধু তা-ই নয়, অসুখের আক্রমণ এলেও অল্পেই চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে ফেলা ও কোর্স শেষ না করার অভ্যাস বদলানো অত্যন্ত জরুরি। নইলে সুপারবাগের শিকার হতে পারেন অজান্তেই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়