মুসবা তিন্নি : দেশের বৃহত্তম স্থল বন্দর বেনাপোলে নেই পণ্য পরীক্ষণের কোনো ব্যবস্থা। ফলে পণ্যের মান পরীক্ষায় নষ্ট হচ্ছে সময়। আর যথাসময়ে পণ্য খালাস করতে না পেরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এতে অনেক ব্যবসায়ী এ বন্দর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। অবশ্য কাস্টমস বিভাগের দাবি, তারা চেষ্টা করছেন পরীক্ষাগার স্থাপনের। বছরে এ বন্দর থেকে রাজস্ব আয় হয় ৫ হাজার কোটি টাকা।
বছরে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হলেও আমদানি পণ্য খালাসের অন্যতম শর্ত, পণ্য পরীক্ষণের কোন ব্যবস্থা নেই এ বন্দরে। ফলে আমদানি করা খাদ্যদ্রব্য, খাদ্যদ্রব্যের কাঁচামাল, কসমেটিকস ও শিল্প কারখানার কেমিকেল পরীক্ষণে মাসের অধিক সময় ক্ষেপণ হয়। এছাড়া দীর্ঘসময় এসব পণ্য ফেলে রাখায় অনেক সময় মানও নষ্ট হয়ে যায়। পাশাপাশি আমদানি পণ্য বন্দর শেডে বা ট্রাকে রেখে মোটা অংকের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় ব্যবসায়ীদের। যার প্রভাব পড়ছে উৎপাদিত পণ্যের সাধারণ ক্রেতা পর্যায়েও। এ বন্দরে শিগগিরই বিএসটিআই ও বিসিএসআইআর এর শাখা প্রয়োজন বলে মনে করেন বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বেনাপোলের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন।
তিনি বলেন, আমরা কোনো পণ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকাতে পাঠালে সেই প্রক্রিয়া শেষ হতে দেড় থেকে দুই মাস লেগে যায়। এছাড়া প্রচুর টাকা খরচ হয়। তাই এখানেই বিএসটিআই ও বিসিএসআইআর’র একটি শাখা অফিস খোলা ছাড়াও টেস্টের জটিলতার সমাধান দরকার। বেনাপোল কাস্টমসের শীর্ষ কর্মকর্তা পণ্য পরীক্ষণের জটিলতার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, পরীক্ষাগার স্থাপনের চেষ্টা করা হচ্ছে।
বেনাপোলের কাস্টমস কমিশনার মুহাম্মদ বেলাল হুসাইন চৌধুরী বলেন, এখানে এরইমধ্যে সীমিত আকারে বিএসটিআই’র একটি শাখা চালু হয়েছে। আশা করছি বিসিএসআইআর’সহ অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর শাখাও দ্রুত খোলা হবে। বেনাপোল কাস্টমসের তথ্য মতে, এ বন্দর দিয়ে সাড়ে তিন শতাধিক আইটেমের পণ্য আমদানি হয়। যার মধ্যে খাদ্যদ্রব্য, খাদ্যদ্রব্যের কাঁচামাল, কসমেটিকস ও শিল্প কারখানার কেমিকেল জাতীয় ৫৫টি পণ্য পরীক্ষণ সার্টিফিকেট ছাড়া খালাস করা হয় না।
আপনার মতামত লিখুন :