শিরোনাম
◈ পুলিশকে স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে: আইজিপি ◈ বিএনপির নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানো সরকারের প্রধান কর্মসূচি: মির্জা ফখরুল ◈ উপজেলায় ভোট কম পড়ার বড় কারণ বিএনপির ভোট বর্জন: ইসি আলমগীর  ◈ আত্মহত্যা করা জবির সেই অবন্তিকা সিজিপিএ ৩.৬৫ পেয়ে আইন বিভাগে তৃতীয় ◈ কুমিল্লায় ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন ◈ গোপনে ইসরায়েলে অস্ত্র পাঠাচ্ছে ভারত, জাহাজ আটকে দিয়েছে স্পেন ◈ দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচন: ৬১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন ◈ উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ৭১ শতাংশ প্রার্থী ব্যবসায়ী, কোটিপতি ১১৬ জন: টিআইবি ◈ ৩ বাসে ভাঙচুর, ট্রাফিক বক্সে আগুন, গুলিবিদ্ধ ১ ◈ ঢাকা মহানগরীতে ব্যাটারি-মোটরচালিত রিকশা চললেই ব্যবস্থা: বিআরটিএ

প্রকাশিত : ২৫ জুন, ২০১৯, ০৪:২৩ সকাল
আপডেট : ২৫ জুন, ২০১৯, ০৪:২৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ধানের পর মরিচেও কৃষকের লোকসান, কেজি প্রতি ১২ টাকা

আবু মুত্তালিব মতি, আদমদীঘি (বগুড়া): বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় ধানের লোকসান কাটিয়ে উঠতে লাভের আশায় মরিচ চাষ করেও কৃষকরা লোকসানের হাত থেকে রেহায় পাচ্ছেন না। চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো ধানের বাজারে দাম কম হওয়ায় কৃষকরা লোকসানে পড়েন। সেই লোকসানকে পুষিয়ে নিতে তারা কাঁচা মরিচ চাষে ঝুঁকে পড়েন। কিন্তু বর্তমান বাজারে মাত্র ১২ টাকা কেজিতে মরিচ বিক্রি করায় ধানের লোকসান পুষিয়ে নেয়াতো দূরের কথা মরিচ চাষে উৎপাদন খরচই তুলতে পারছেন না। এখানেও কৃষকদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। ফলে তারা হতাশায় পড়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আদমদীঘি উপজেলার কোমারপুর, মঙ্গলপুর, জিনইর, কাশিমালা, শিবপুর, কড়ই, সালগ্রাম, আমইল, তেতুলিয়া, ছাতিয়াগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় বর্ষা মৌসুমে ১৮৮বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করে। বিগত বছরের তুলনায় এবার মরিচ চাষের পরিমাণ বেশি ছিল। এখানকার মরিচ ঢাকা চট্রগ্রাম সিলেট কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ট্রাকযোগে সরবরাহ করা হয়।

উপজেলার কোমারপুর গ্রামের মরিচ চাষি নূর মোহাম্মাদ জানায়, ইরি বোরো ধান বাজারে কম দাম পাওয়ায় সেই লোকসান পুষিয়ে নিতে এবার বেশি জমিতে মরিচ চাষ করা হয়েছে। এক বিঘা জমিতে মরিচ চাষে জমি তৈরি লাগানো, ফসলে খাবার, পোকা দমনে ঔষধ প্রয়োগ, পরিচর্যা শ্রমিকের মজুরিসহ বিভিন্ন খাতে প্রায় ২৫ হাজার টাকা খরচা হয়ে থাকে। কিন্তু মাত্র ১২ টাকা কেজিতে মরিচ বিক্রি করে উৎপাদন খরচ তোলা সম্ভব হচ্ছে না। সালগ্রামের মরিচ চাষি হামিদুল ইসলাম সাড়ে ৮ হাজার টাকা খরচ করে ১০শতক জমিতে মরিচ চাষ করে দাম কম পাওয়ায় হতাশায় পড়েছেন।

কাঁচা মরিচ পাইকার ব্যবসায়ী ফারুক হোসেনসহ কয়েকজন জানায়, আদমদীঘি এলাকা থেকে কক্সবাজার, সিলেট, কুমিল্লা, চট্রগ্রাম রিয়াজ উদ্দিন বাজার, ঢাকার কাওরান বাজার, মিরপুর, চৌরাস্তাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন প্রায় আড়াই হাজার মন কাঁচামরিচ ট্রাক যোগে সরবরাহ করা হয়। বাজারে কাঁচা মরিচের অধিক সরবরাহ ও পাইকার কম থাকায় মূল্য কমে গেছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মিঠুন চন্দ্র অধিকারী জানায়, এবার কাঁচা মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে বাজারে সরবরাহ বেশি কিন্তু পাইকার বা ক্রেতা কম থাকায় কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা কমে গেছে। সম্পাদনা : মিঠুন রাকসাম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়