ইসমাঈল ইমু : ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) হিসেবে ৯ হাজার ৬৮০ জন কনস্টেবল নিয়োগ ফ্রি এন্ড ফেয়ার করতে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। নিয়োগে ঘুষ-দুর্নীতি ও অনিয়ম বন্ধে প্রতিটি জেলার এসপিদের বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
একইসঙ্গে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এসপিদের আর্থিক লেনদেনে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হলে রেহাই নেই। পুলিশ সদর দফতরের তদারকি টিম তাদেরও গ্রেফতার করবে। পাশাপাশি প্রতি জেলাতেই আইজিপির নিজস্ব গোয়েন্দা টিমের সদস্যরাও পরীক্ষা শুরু হলেই কাজ শুরু করবে। পুলিশ সদর দফতর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পুলিশ সদর দফতরের একজন এসপি’র নেতৃত্বে প্রতিটি জেলায় থাকবে তদারকি টিম। কোনো প্রার্থী উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই রাজনৈতিক নেতাদের দিয়ে তদবির করালে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হবে। পাশাপাশি ঘুষদাতাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
গতকাল ঢাকা, রাজশাহী, বরিশালসহ ৫ টি রেঞ্জে শুরু হয়েছে এ নিয়োগ। ধাপে ধাপে চলবে অন্যান্য জেলায়। এ নিয়োগ শেষ হবে আগামী ৯ জুলাই পর্যন্ত। প্রতিটি জেলার পুলিশ লাইনস মাঠে প্রার্থীদের বাছাই করা হবে। শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। পরে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার পর চ‚ড়ান্ত করা হবে প্রার্থী।
সাধারণত পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে সব জেলাতেই ক্ষমতাসীন দলের নেতারা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন। অর্থনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমেই অতীতে চাকরিও হাতিয়ে নিয়েছেন। এসব পদে নিয়োগের জন্য দলীয় সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীরা ডিও লেটার (আধা সরকারি পত্র) পাঠান পুলিশ সুপারদের (এসপি) কাছে। তাদের তদবির না রাখলে অনেক সময় বেকায়দায়ও পড়তে হয়। এবার লিখিত পরীক্ষায় প্রার্থী উত্তীর্ণ হওয়ার পর নেতাদের তদবির এড়িয়ে যেতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে যাচাই বাছাই করতে বলা হয়েছে এমপি-মন্ত্রীদের ডিও লেটার (আধা সরকারি পত্র)।