নূর মাজিদ : যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের পণ্য আমদানিতে বিপুল পরিমাণ করছাড় দিচ্ছে চীন। দিচ্ছে অন্যান্য সুবিধাও। দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক স¤পর্ক উন্নয়নে ওই দেশগুলোকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা দিচ্ছে চীন। যা বিশ্বের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসী বাণিজ্যনীতিকে আরো অজনপ্রিয় করে তুলেছে এবং চীনের পক্ষে সহানুভূতির পরিমাণ বাড়াচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্বনামধন্য গবেষণা সংস্থা পিটারসন ইন্সটিটিউড অব ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক্স প্রকাশিত এক গবেষণায় এমনটাই বলা হয়েছে। সূত্র : সিএনবিসি।
প্রতিবেদনে প্রকাশ, গতবছর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পণ্য রপ্তানিতে প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম এমন দেশগুলো থেকে পণ্য আমদানির শুল্ক কমিয়েছে চীন। গবেষণায় আরো উঠে আসে, গতবছর মার্কিন পন্যে চীন অতিরিক্ত ৮ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্কাদায় করে। যার পরিমাণ চলতি মাসের শুরু নাগাদ ২০ দশমিক ৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। একইসময় বৈদেশিক বাণিজ্য সহযোগী অন্যান্য দেশ থেকে চীনের পণ্য আমদানিতে গতবছর শুল্কের পরিমাণ ৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে গত নভেম্বরে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ করা হয়। এখনও, এটা আগের অবস্থানেই রয়েছে।
চীনের এই ধরনের পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের কম মানুষেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। কারণ অধিকাংশ গণমাধ্যম বেজিং এবং ওয়াশিংটন একে-অপরের প্রতি কি বলছে সেদিকেই পাঠকের মনোযোগ অধিক আকৃষ্ট করে। তবে গণমাধ্যমের বেশিরভাগ গণমাধ্যমের মাথাব্যথা না হলেও চীনের এমন পদক্ষেপ সত্যকার অরথেই যুক্তরাষ্ট্রকে শাস্তি দেয়ার শামিল। এর মাধ্যমে বেজিং মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোকে এক ধরনের অসম বাণিজ্যিক প্রতিযোগিতার মুখে ফেলে পাল্টা প্রতিশোধ নিতে চাইছে। ট্রা¤প যখন অতিরিক্ত শুল্কারোপকে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনার প্রধান অস্ত্রে পরিণত করেছেন, ঠিক তখনই তিলে তিলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি জোরদার হচ্ছে চীনের প্রতিশোধমূলক বাণিজ্যনীতি।