শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৯ জুন, ২০১৯, ০২:২৪ রাত
আপডেট : ১৯ জুন, ২০১৯, ০২:২৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মহাশূন্যভিত্তিক সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের দৌড়ে যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলছে চীন

নূর মাজিদ : হলিউডের অনেক দুর্যোগভিত্তিক চলচ্চিত্রের সূচনায় দেখা যায়, মার্কিন রাষ্ট্রপতি একজন বিজ্ঞানীর আশংকাকে উড়িয়ে দিয়ে পরবর্তীতে এক বড় ধরনের দুর্যোগ সূচনা করেন। বাস্তব জীবনটা চলচ্চিত্র নয়, তবে এখান থেকেই অনুপ্রেরণাটা পায় হলিউড। মার্কিন রাষ্ট্রপতিরা চলচ্চিত্রের মতোই যদি কয়েক দশক আগে পরিচ্ছন্ন ও নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ আগামী দিনের ভবিষ্যৎ হবে, এমন কথায় কান দিতেন তবে আজ হয়তো এইক্ষেত্রে বিশ্বনেতৃত্ব যুক্তরাষ্ট্রই দিতো। দঅনেক কম দূষিত হতো বর্তমান পৃথিবী। এখন এই দৌড়ে যুক্তরাষ্ট্রকে বহু পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছে চীন। এতটাই এগিয়েছে যে দেশটি এখন মহাশূন্যে ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। সূত্র : ফরেনপলিসি ডটকম।

চীন থেকে নিত্যনতুন যে মহাকাশ প্রযুক্তি গবেষণা ও সৌরশক্তি উন্নয়নের খবরা-খবর আসছে, তা সঠিক হলে সবার আগে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২২ হাজার মাইল উপরে মহাশূন্যে এই ভাসমান সোলার পাওয়ার স্টেশন স্থাপন করবে চীন। যা শুধু ২৪ ঘণ্টা নয় বরং বছরের ৩৬৫দিন দূষণমুক্ত উপায়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। যেখানে মেঘ, বৃষ্টি বা দিন-রাত্রির চক্রের মতো বিষয়গুলো উৎপাদন কার্যক্রমকে মোটেও প্রভাবিত করতে পারবেনা। ২০৫০ সালের মধ্যেই মহাশূন্যে এমন বাণিজ্যিক পাওয়ার স্টেশন স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে চীনের। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের এমন কোন উদ্যোগের কথা শোনা যাচ্ছে না। আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের এই নতুন ¯েপস রেসের উদ্বোধন আর নেতৃত্ব চীনের হাতেই থাকবে।

সূর্য থেকে শক্তি সংগ্রহ করে পাওয়ার বিমের মাধ্যমে তা ভূপৃষ্ঠে স্থাপিত গ্রাহক কেন্দ্রে পাঠাবে ভাসমান কেন্দ্রগুলো। তবে এই নিয়ে ইতোমধ্যেই চিন্তিত মার্কিন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞগণ। তাদের ধারণা, চীনের মহাকাশ গবেষণা কার্যক্রমের মতোই এটিও মহাকাশে সামরিক শক্তি বিস্তারের আরেক উপায়। ইউএস- চায়না ইকোনমিক কমিশনের সা¤প্রতিক এক প্রতিবেদনে এই শঙ্কায় ব্যক্ত করা হয়।

তবে দ্বিতীয় আরেকটি শঙ্কার বিষয় হলো, চীনের অর্থনৈতিক শক্তি এর ফলে আরো বাড়বে। কারণ দেশটি নবায়নযোগ্য শক্তির সবচাইতে সহজলভ্য এবং অসীম শক্তিকে নিজের মুঠোয় আনবে। যার মাধ্যমে বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং কূটনীতির অঙ্গনে যুক্তরাষ্ট্রের চাইতে চীনের কদর বেড়ে যাবে। এই অবস্থার অবসানে দেশটির প্রযুক্তি বিশারদেরা অবিলম্বে মার্কিন সরকারকে একই ধরনের গবেষণায় অধিক গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। নৈলে আগামী দিনে দূষণমুক্ত জ্বালানির জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে চীনের মুখাপেক্ষি হতে হবে, এমন আশংকাও ব্যক্ত করেন তারা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়