নিউজ ডেস্ক : ধর্ষণের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়া আট বছর বয়সী এক শিশুর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৭ জুন) ভোররাতে শিশুটি ঢাকায় তার এক আত্মীয়ের বাসায় মৃত্যুবরণ করে। শিশুটির বাড়ি টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায়। গত বছরের ৯ জুন শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়। কালিহাতী উপজেলার মালতী গ্রামের তায়েজ আলীর ছেলে মাহবুবকে (১৮) এ ঘটনায় দায়ী করে মামলা হয়। বর্তমানে সে জামিনে রয়েছে। বাংলা ট্রিবিউন
শিশুটির পরিবারের অভিযোগ, গত বছরের ৯ জুন অভিযুক্ত মাহবুব বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিবেশী শিশুটিকে ডেকে তার বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। এতে রক্তক্ষরণ হয়ে শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে শিশুটিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর থেকেই শিশুটি চিকিৎসাধীন ছিল। মাঝে মধ্য কিছুটা ভালো হলে ওই শিশুকে তার বাড়ি ও ঢাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় রাখা হতো। অসুস্থ হলে তাকে আবারও হাসপাতালে ভর্তি করা হতো।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের প্রোগ্রাম অফিসার (পিও) মো. বাইজিদ বলেন, ওই সময় ধর্ষণের ফলে শিশুটির ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়। তার যৌনাঙ্গ ছিঁড়ে মলদ্বারের সঙ্গে এক হয়ে যায়। এতে আটটি সেলাই করা হয়। এরপরে তার শারীরিক অবস্থার অবনিত হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এতদিন ধরে তার এ বিষয়েই চিকিৎসা চলছিল।
ধর্ষণের ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে মাহবুবকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ মাহবুবকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়। এর কিছুদিন পর সে জামিনে বের হয়ে আসে। এদিকে শিশুটির মৃত্যুর খবরে অভিযুক্ত মাহবুব গা ঢাকা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
শিশুটির নানা বলেন, ঢাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় সোমবার শিশুটি পেটে ব্যথা অনুভব করে। তাকে হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। এ সময় তার মৃত্যু হয়। সকালের দিকে তার লাশ গ্রামের বাড়ি উপজেলার মালতীতে আনা হয়। এরপর স্থানীয় চেয়ারম্যান শুকুর মাহমুদ বাড়িতে এসে তার দাফনের ব্যবস্থা করেন।
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন বলেন, ওই সময় ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হলে অভিযুক্ত ধর্ষক মাহবুবকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :