শিরোনাম
◈ আবারও বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১১৮৪৬০ টাকা ◈ ভেবেছিলাম দেশের সমস্যা ক্ষণস্থায়ী, এখন আরও বেড়েছে: এডিটরস গিল্ড ◈ দেশের উন্নয়ন দেখে বিএনপি’র মাথা খারাপ হয়ে গেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ যুক্তরাষ্ট্র স্মার্ট প্রাণিসম্পদ প্রকল্পে ৩৪ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিবে ◈ সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ হলে কাঁচাবাজারে দাম কমবে: সাঈদ খোকন ◈ নরসিংদীতে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় মা-ছেলেসহ চারজন নিহত ◈ রোববার থেকে আবার গাউন পরতে হবে আইনজীবীদের ◈ সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে বাধা নেই: ডেপুটি গভর্নর ◈ জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন: রাষ্ট্রপতি ◈ দেশের জিডিপির পূর্বাভাস কমালো জাতিসংঘ, চিন্তা মূল্যস্ফীতি নিয়ে

প্রকাশিত : ১৭ জুন, ২০১৯, ১২:৫৫ দুপুর
আপডেট : ১৭ জুন, ২০১৯, ১২:৫৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কদর বাড়ছে মাছ ধরার চাঁই, টইয়া ও পলোর

ডেস্ক রিপোর্ট : শুরু হয়েছে বর্ষাকাল। তত্পরতা বেড়েছে গ্রামের মত্স্য শিকারিদের। এসময় মাছ ধরতে বাঁশ-বেত দিয়ে ফাঁদ তৈরি করা কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি কয়েকটি মাছ ধরার ফাঁদের নাম হলো হল চাঁই, টইয়া ও পলো। বর্ষার শুরুতেই এসব উপকরণের বাড়ছে কদর।ইত্তেফাক

 

মাছ শিকারের জন্য বছরের দুটি সময় এসব উপকরণের বিক্রি বেড়ে যায়। যখন খালে-বিলে পানি কমে যায় তখন বাঁশের তৈরি এসব উপকরণ ব্যবহার করে শিকারিরা। আবার যখন নতুন বৃষ্টির পানি আসে তখনো বিক্রি বাড়ে।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চাঁই হচ্ছে আড়াই-তিন ফুট লম্বাকৃতির গোলাকার উপকরণ এবং টইয়া চ্যাপ্টা আকৃতির। মাছ ধরার ক্ষেত্রে চাঁই ও টইয়ার ব্যবহার প্রায় একই রকম। উঁচু জমি থেকে পানি যখন সাধারণত নিচু জমিতে পড়ে তখন শিকারীরা বাঁধ দিয়ে ছোট একটা জায়গা করে চাঁই বা টইয়া দিয়ে ফাঁদ পাতা হয়। চাঁইয়ের ভিতর দিয়ে ও টইয়ার উপর দিয়ে পানি যায়। এতে করে ছোট-বড় সকল প্রকার মাছ চাঁই বা টইয়াতে আটকে যায়। জায়গা এবং পানির প্রকারভেদে চাঁই ও টইয়ার সাইজ ও বিভিন্ন আকৃতির ব্যবহার করতে হয়। আর পলো হচ্ছে আড়াই-তিনফুট লম্বাকৃতির গোলাকার উপকরণ। কম পানির জায়গায় পানির উপর থেকে পলো ফেলে হাত ঢুকিয়ে দিয়ে মাছ ধরা হয়। সাধারণত রাতেরবেলায় এর ব্যবহার বেশি।

 

একসময় বিভিন্ন স্থানে চাঁই, টইয়া ও পলো দিয়ে মাছ ধরার প্রচলন ছিল বেশি। মাছ ধরার এসব বিশেষ ফাঁদ চাঁই, টইয়া ও পলো তৈরি করে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার অনেকে জীবিকা নির্বাহ করেন। সম্প্রতি উপজেলার দেওদিঘী বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে বিক্রির জন্যে অনেক চাঁই, টইয়া, পলো এনে জড়ো করেছেন কামাল হোসেন। তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক একটি চাঁই ২৫০-১২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। টইয়া ও পলো আকারভেদে বিভিন্ন দামে বিক্রি হয়।

 

চাঁই কিনতে আসা নেজামউদ্দিন জানান, আগে প্রতিবছর তাকে তিন/চারটা চাঁই, টইয়া বা পলো কিনতে হতো কিন্তু এখন আগের মতো খাল-বিলে আর মাছ পাওয়া যায় না। তার বাড়ির পুকুরের পানি বাইরের জমিতে যাবে আবার বাইরের জমির পানি পুকুরে ঢুকবে তাই তিনি মাছ আটকানোর জন্য একটি চাঁই কিনেছেন। প্রতিবছর তাঁর চাঁইয়ে ছোট চিংড়ি, মলা, ঢেলা ও পুইয়া মাছ ধরা পড়ে বলে তিনি জানান।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়