শিরোনাম
◈ অর্থের বিনিময়ে ৬ বছরের শিশুকে বিয়ে: তালেবান প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আপাতত রক্ষা! ◈ আবারও মে‌সির জোড়া গোলে ইন্টার মায়ামির জয় ◈ এখন থেকে আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নাম থাকবে না: জ্বালানি উপদেষ্টা ◈ ‘তুমি কেন ফুয়েল কেটে দিলে?’ ভারতীয় বিমান বিধ্বস্তের আগে পাইলটদের শেষ ককপিট ভয়েস রেকর্ডিং ◈ দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসীদের জন্য সুখবর: মৃত্যু হলে লাশ দেশে পাঠাবে সরকার, ক্ষতিপূরণ মিলবে বীমার আওতায় (ভিডিও) ◈ বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে যাচ্ছে ভারত: পিউ রিসার্চ ◈ বেপরোয়া বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘাতে ছয় মাসে নিহত ৪৩ ◈ স্প‌্যা‌নিশ ক্যাবরেরাই থাক‌ছেন বাংলা‌দেশ ফুটবল দ‌লের কোচ ◈ সন্ধ‌্যায় নেপালের বিরু‌দ্ধে লড়াই‌য়ে নাম‌ছে বাংলা‌দে‌শের মে‌য়েরা ◈ ঢাকায় হবে এশিয়া কাপের সভা, ভারত অংশ নে‌বে না

প্রকাশিত : ৩১ মে, ২০১৯, ০৪:১৪ সকাল
আপডেট : ৩১ মে, ২০১৯, ০৪:১৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যৌথ জ্ঞানের ব্যক্তিকরণ : স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্ব সৃষ্টির দার্শনিক ভিত্তি

মাসুদ রানা : যৌথ জ্ঞান ও যৌথ নেতৃত্বের ব্যক্তিকরণের (personification of collective knowledge and collective leadership) ধারণা বা তত্ত্বই হচ্ছে তথাকথিত খাঁটি বিপ্লবী দলের মধ্যে গণতন্ত্রহীনতা ও স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্ব গড়ে ওঠার দার্শনি

ক ভিত্তি। প্রশ্ন হতে পারে : কীভাবে? উত্তর বর্ণিত হলো নিচে : যখন দলের মধ্যে অমুক ভাইকে যৌথ জ্ঞানের ব্যক্তিকৃত রূপ তথা যৌথ জ্ঞানের সর্বশ্রেষ্ঠ ধারক হিসাবে চিহ্নিত, স্বীকৃত ও গণ্য করা হয়, তখন যেকোনো বিষয় বোঝার ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সমষ্টির চিন্তা ও মতামতের উপর নির্ভর না করে অমুক ভাইয়ের উপর নির্ভর করা হয়। কারণ বিশ্বাস করা হয়, সকলের যৌথজ্ঞান তিনিই ধারণ করেন বলে তার সিদ্ধান্তই সঠিক সিদ্ধান্ত ও যৌথ সিদ্ধান্তের ব্যক্তিরূপ। শুরুতে অনুসারীরা আনন্দের সঙ্গে যৌথ জ্ঞানের এই ব্যক্তিকরণ মেনে নেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে একটু একটু করে বুঝতে থাকে, এখানে এক ব্যক্তির চিন্তার বাইরে নতুন কোনো চিন্তার স্থান নেই এই খাঁটি বিপ্লবী দলে। তখন তাত্ত্বিক বিশ্বাসের কারণে এর প্রতিবাদও যেমন করতে পারেন না কেউ, তেমনি আবার এরূপ স্বৈরতান্ত্রিক অবস্থার মধ্যে থেকে এক ধরনের শ্বাসরুদ্ধতার মধ্যে পতিত হন তারা।

এ পরিস্থিতিতে অনুসারীররা হয়তো জীবনী শক্তি হারিয়ে নির্জীবের মতো পড়ে থাকেন নেতার পদতলে, নয়তো দল ছেড়ে মুক্তির শ্বাস ফেলে বেঁচে থাকেন ব্যক্তিগত জীবনে। তবে অধিকাংশই সমাজ বিপ্লবের স্বপ্ন ভুলতে পারেন না। তাই তাদের পক্ষে আওয়ামী লীগ-বিএনপির মতো প্রো-এসটাব্লিশমেন্ট পার্টি করাও সম্ভব হয় না। যারা স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্ব পরিহার করে একটি গণতান্ত্রিক ও পরিবর্তনকামী রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে চান দেশ-জাতি-রাজনীতির প্রগতিশীল মৌলিক পরিবর্তনের জন্য তাদের উদ্দেশ্যে আমার কিছু বলার আছে, যদি তারা আদৌ আগ্রহী হন। ফেসবুক থেকে

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়