শেখ নাঈমা জাবীন : তালিবানের পক্ষে যুদ্ধ করে ২০০১ সালে ধরা পড়েছিলো আমেরিকার নাগরিক জন ওয়াকার লিন্ধ। প্রায় ১৭ বছর কারাবাসের পর মার্কিন জেলখানা থেকে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে বলে জানান ইন্ডিয়ানার ফেডারেল জেলের এক কর্তা। যদিও লিন্ধকে ঘিরে নিরাপত্তাগত বিপদ রয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। বর্তমান
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জঙ্গি হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ইরাক ও আফগানিস্তান থেকে আটক অনেক কয়েদির মধ্যে একজন লিন্ধ। তখনকার টগবগে তরুণ এখন পরিণত পুরুষ। লিন্ধের মুক্তি নিয়ে আপত্তি তুলেছেন বেশ কয়েকজন কর্তা। তাঁদের প্রশ্ন, কেন ২০ বছর দ-প্রাপ্ত লিন্ধকে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই মুক্তি দেওয়া হচ্ছে? জেহাদিদের মৌলবাদ ও অপরাধপ্রবণতা দূর করতে প্যারোল কর্তারা কী ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন, তা তাঁরা জানতে চেয়েছেন।
২০১৬ সালে মার্কিন সরকারের নথিতে লিন্ধকে ‘চরমপন্থী মতাদর্শসম্পন্ন’ বলে উল্লেখ করা হয়েছিলো। জেলখানার ফেডারেল ব্যুরোতে লেখা এক চিঠিতে মার্কিন সিনেটর রিচার্ড শেলবি ও মার্গারেট হাসান জানতে চেয়েছেন, ‘চরমপন্থী বা জঙ্গি হিসেবে গ্রেপ্তার হওয়াদের পুনরায় সমাজে ফিরিয়ে আনলে বাকিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত থাকবে তো?’ লিন্ধের বাবা-মা ম্যারিলিন ওয়াকার ও ফ্র্যাঙ্ক লিন্ধ অবশ্য এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া লিন্ধ কৈশোরেই ক্যাথলিসিজম ছেড়ে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিলো। ২০০২ সালে জিজ্ঞাসাবাদের সময় সে জানায়, আরবি ভাষা শিখতে ইয়েমেনে গিয়েছিলো সে। পরে ইসলাম ধর্ম নিয়ে পড়ালেখা করতে যায় পাকিস্তানে। এরপরই মুসলিমদের জেহাদে সাহায্য করতে তালিবান জঙ্গি হিসেবে স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকা পালন করে লিন্ধ। তবে কখনই ‘আমেরিকা বিরোধী যুদ্ধে’ অংশ নেওয়ার ইচ্ছা তাঁর ছিলো না বলে দাবি করে সে। এমনকি জেহাদ মানে আমেরিকা-বিরোধী যুদ্ধ, এমনটাও কখনও ভাবেনি লিন্ধ। আদালতে দাঁড়িয়ে লিন্ধ সন্ত্রাসবাদেরও তীব্র নিন্দা করে। আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের কর্মকা-কে ‘একেবারেই ইসলামবিরোধী’ বলে উল্লেখ করে সে। ২০০২ সালে আদালতের রায়ে ২০ বছরের কারাদ- দেওয়া হয় তাঁকে। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন