সায়ন্ত : ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এর নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়েছে কাউন্সিলের মাধ্যমে। এতে ২৬৪ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ২৪৮ জন। ২৪ মে শুক্রবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ড্যাবের এই কাউন্সিলের আয়োজন করা হয়। ২৬৪ জনের মধ্যে ২৪৮ ভোট কাস্টিং সহজ কথা নয়। সবচেয়ে বড় কথা এতো সুশৃঙ্খল শান্তিপূর্ণ নির্বাচন কোন রাজনৈতিক বা রাজনীতি সংশ্লিষ্ট সংগঠনের জন্য এখন ভাবাও কঠিন। এ নির্বাচন নিয়ে কারো কোন অভিযোগ নেই। বিন্দুমাত্র হট্টগোলও হয়নি। এটাই তো গণতন্ত্র। এটাকেই বলে সহনশীলতা। এমন উদাহরণ সাম্প্রতিক সময়ে কমই দেখা যায়।
বিএনপি যদি বাকি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কমিটিও এভাবে কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্বাচন করতে পারে সেটি দলের ও দেশের জন্য ভালো। সবচেয়ে ভালো ও দক্ষ লোকটিকে সিলেকশনের মাধ্যমে পদ দেয়ার চেয়েও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত কম যোগ্যতা সম্পন্ন লোকটির প্রতি আমার শ্রদ্ধা বেশি। কারণ তিনি সত্যিকার অর্থে নির্বাচিত প্রতিনিধি। ড্যাবের এই নির্বাচনে কি কেউ হেরেছে? মোটেই না। এতে জিতেছে জাতীয়তাবাদী রাজনীতি। জিতেছে গণতান্ত্রিক রাজনীতির প্র্যাকটিস। যারা এতে হারজিত খুঁজবেন তারাই ভুল করবেন।
যে দলের প্রধান কা-ারি অবিচারের রায়ে জেলে, অসুস্থ। যার মুক্তি অনিশ্চিত। যে দলের দ্বিতীয় প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ নেতা কবে দেশে আসতে পারবেন তা অনিশ্চিত। তাদের এখন জয় পরাজয় খোঁজার সময় নয়। এখানে কেউ বিজয়ী বা পরাজিত এই মনোভাব না দেখিয়ে সবাই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপির কর্মী এটা ভাবাই উত্তম। সবার লক্ষ্য একটাই, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও। আর দেশ ও মানুষ বাঁচাতে হলে ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিরাপদে দেশে আসতে পারার পরিস্থিতি তৈরি করার বিকল্প নেই। দলকে আরও সংগঠিত ও শক্তিশালী করে গণমুখী রাজনীতিকে বিস্তৃত করা ছাড়া উপায় নেই। সে রাজনীতির জন্য চাই একতা। জয়-পরাজয়ের হিসাব নয়। ফেসবুক থেকে