শেখ নাঈমা জাবীন : বিয়েতে কতই না নিয়ম। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষজন বিভিন্ন রীতি মেনে বিয়ের আসরে বসেন। কিন্তু এমন নিয়ম হয়তো আগে কেউ শোনেননি, যা এই গ্রামে হয়। ভারতের গুজরাটে এমন তিনটি গ্রাম রয়েছে, যেখানে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন দু’জন মহিলা। যদিও বিবাহিত জীবনযাপন করেন না তাঁরা। সংবাদ প্রতিদিন
গ্রামগুলো হলো- সুরখেদা, সানাদা ও অম্বাল। উপজাতি অধ্যুষিত এই এলাকায় বিয়েতে অনুপস্থিত থাকেন পাত্র। এমনকী বিয়ের আসরের আশেপাশেও তাঁকে দেখা যায় না। এর থেকেও অদ্ভুত যা নিয়ম, তা হল পাত্রের অবিবাহিত বোনকেই আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করেন পাত্রী। এমনকী রীতি মেনে বিয়ের দিন সকাল থেকেই পাত্রের যা যা নিয়ম পালনের কথা, সেই সমস্তটাই পালন করেন তাঁর বোন। এরপর সময়মতো বরযাত্রীর সঙ্গেই কনের বাড়িতে হাজির হন পাত্রের বোন। সমস্ত নিয়ম মেনে পাত্রের বোনের সঙ্গেই গাঁটছড়া বাঁধেন পাত্রী। কিন্তু এই সময় পাত্রের ভূমিকা ঠিক কী? না, কার্যত তাঁর কোনও ভূমিকাই নেই। তবে বিয়ের পোশাকে তৈরি থাকেন তিনি। কিন্তু থাকেন বাড়িতেই, মায়ের সঙ্গে। বোনই বিয়ে করে তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে হাজির হন বাড়িতে।
কিন্তু কেন এমন অদ্ভুত নিয়ম? গুজরাটের ওই গ্রামগুলির বাসিন্দাদের বিশ্বাস, দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই নিয়মই সংসার জীবনে খুশি বয়ে নিয়ে আসে। তাঁদের দৃঢ় বিশ্বাস, এই প্রথার অন্যথা হলে পরিবারে নেমে আসবে কোনও বিপদ। অঘটন ঘটবে সদস্যদের জীবনে। নয়তো বা বিচ্ছেদ হয়ে যাবে দম্পতির। তাই এসব সমস্যা এড়াতেই দীর্ঘদিন ধরে এই তিন গ্রামের ছেলেদের অবিবাহিত বোনেরাই তাঁদের ভাই বা দাদার জন্য বাড়িতে নতুন বউ নিয়ে আসেন। যদিও কবে থেকে এই রীতির প্রচলন হয়েছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে এই তিন গ্রামের অভিনব রীতি নিয়ে কিন্তু অন্যদের উৎসাহের অন্ত নেই। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন