সান্দ্রা নন্দিনী : যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার চলমান সঙ্কট কূটনৈতিকভাবে নিরসনে ৩টি মূখ্য বাধার বিষয় উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি মাজিদ তাখত-ই-রাভানচি। মাজিদের বক্তব্যটি ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে তিনি সাম্প্রতিক সময়ে ওয়াশিংটনকে সামলাতে তেহরানকে যেসব বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে সেসব বিষয়ে বিস্তারিত জানান। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আলোচনা প্রস্তাব পেয়েছে ইরান। স্পুৎনিক
মাজিদের মতে, মধ্যপ্রাচ্য ও মার্কিন প্রশাসনের ভেতরে থাকা কয়েকজনের মাধ্যমে ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের পথে এগুচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তিনি মনে করেন, ট্রাম্পের কাছের কয়েকজনের ইচ্ছা থাকলেও ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ বাধানোয় সত্যিকার অর্থে আগ্রহী নন ট্রাম্প। যদিও ইরানের জন্য মার্কিন নীতিমালা অত্যন্ত ধারাবাহিকতাহীন ও বিতর্কিত। তবে তারমতে, যুক্তরাষ্ট্র কোনভাবে একইসাথে হুমকি ও সংলাপের আহ্বান জানাতে পারে না। ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত প্রতিবেদনে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের চলমান সঙ্কট সমাধানের পথে মূখ্য তিনটি বাধার বিষয়ে উল্লেখ করা হয়।
প্রথমত, কূটনৈতিক সমাধান কখনই ভীতি, জোর-জবরদস্তি আর অবরোধের মধ্যে সফল হতে পারে না। সফল সংলাপের জন্য প্রথমেই পারস্পরিক শ্রদ্ধার নীতি গ্রহণ ও বৈষম্যহীন পদক্ষেপ নিশ্চিত হওয়া জরুরি।
দ্বিতীয়ত, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কখনই সংলাপ সম্ভব হবে না যদি দেশটির প্রশাসনের মধ্যেই সমন্বয়ের অভাব থাকে। একদিকে, কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তা সংলাপ আয়োজনের জন্য উদগ্রীব হয়ে রয়েছেন, যেখানে আরেকদল কার্যকর ও অর্থপূর্ণ সংলাপের সকল রকম সম্ভাবনা বানচাল করছেন।
তৃতীয়ত, কূটনৈতিকভাবে সমস্যা সমাধানের যাবতীয় সম্ভাবনা তখনই শেষ হয়ে গিয়েছে যখন ট্রাম্প ইরানের সাথে ছয় পরাশক্তির পরমাণুচুক্তি থেকে গতবছর বেরিয়ে এসেছেন। তাই তেহরানের পক্ষ থেকে একই পরিণতির ভয়ে ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আর কোনও চুক্তিতে যাওয়ার কোনই সম্ভাবনা নেই।