এম জহিরুল ইসলাম : রাজধানী ঢাকার ১ হাজার ৮১৮টির মধ্যে মাত্র ২৯৩টি ভবন নিয়ম মেনে তৈরি করা হয়েছে। বাকি এক হাজার ৫২৫টি ভবনের নকশারই পূর্ণাঙ্গ অনুমোদন নেই। ঢাকা মহানগরে ৪৩১টি বহুতল ভবন রয়েছে, যেগুলোর কোনো নকশাই নেই। মালিকরা সরকারের পরিদর্শন কমিটির সামনে ভবনগুলোর নির্মাণ-সংক্রান্ত কোনো কাগজ দেখাতে পারেননি। এমন তথ্যই তুলে ধারা হয়েছে ভবন পরিদর্শন কমিটির প্রতিবেদনে। এনটিভি অনলাইন
গত ২৮ মার্চ রাজধানীর বনানীর এফ আর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জনের প্রাণহানি ঘটে। এরপর গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ইয়াকুব আলী পাটওয়ারীকে আহ্বায়ক করে ৮ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে আসে ভবনটির নকশার ত্রুটির বিষয়টি। দেখা গেছে, ১৫ তলার অনুমোদন নিয়ে ভবনটি ২৩ তলা করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঢাকা মহানগরের বহুতল ভবনগুলোর নকশা যাচাই-বাছাই করার জন্য রাজউক এলাকাকে ৮টি জোনে ভাগ করে ২৪টি টিম মাঠে নামানো হয়। গত ১ এপ্রিল এ টিমগুলো বহুতল ভবন পরিদর্শন শুরু করে। ১১ তলা থেকে তার ঊর্ধ্বের ভবনগুলোকে বহুতল ভবন হিসেবে চিহ্নিত করে এগুলো পরিদর্শন করে রাজউকের টিম। এ সময় এক হাজার ৮১৮টি ভবন চিহ্নিত করে কাগজপত্র দেখা হয়।
নকশাবহির্ভূতভাবে নির্মাণ করা এসব বহুতল ভবনের বিষয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম বলেন, আমরা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ভবন মালিক ও নির্মিত ভবনগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নেব। প্রথমে আমরা ভবন মালিকদের কাছে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেবো। জবাব সন্তোষজনক না হলে আমরা এগুলো ভাঙার নোটিশ দেবো।