জাবের হোসেন : বিশ্বের সবেচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশটির জন্য দেয়ালের লিখন, এমন এক যুগে ভারতে সা¤প্রদায়িক রাজনীতির জয় হলো যা প্রজাতন্ত্রটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দেবে। ফলাফল বিস্ময়ে অবিভূত করার মতো এবং বিষন্ন মনে দেখতে হয় যে ধর্মীয় ঘৃণা ও সা¤প্রদায়িক রাজনীতি দিয়েও ভোটারদের আকৃষ্ট করা যায়। সাউথ এশিয়ান মনিটর
উল্লেখ্য যে, মোদির প্রচারের মাসগুলোতে মুসলিম বিরোধী ও পাকিস্তান বিরোধী এন্তার বক্তব্য দেয়া হয়েছে। জাতীয়তাবাদী মনোভাব উষ্কে দিতে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে বিমান হামলা চালাতে পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে ভারত।
এখন নির্বাচন শেষ হয়েছে। আমরা আশা করবো যে মোদি তার বাগাড়ম্বরতার রাশ টেনে ধরবেন এবং সংখ্যালঘুদের আতংকিত করা থেকে হিন্দু চরমপন্থী গ্রুপগুলোকে বিরত রাখবেন।
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার একদিন আগে কিরঘিজিস্তানের বিশকেকে পাকিস্তান ও ভারতের স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি ও সুষমা স্বরাজের মধ্যে আলোচনার যে ছবি প্রকাশিত হয় তা প্রতিবেশি দুই দেশের সম্পর্কে বরফ গলার ব্যাপারে আশাবাদের সৃষ্টি করেছে। পত্রিকার খবরে বলা হয়, সুষমা স্বরাজ মিষ্টি বিনিময় করেছেন এবং স্বীকার করেছেন যে অতীতের আলোচনাগুলাতে তিক্ততা ছিলো।
পিটিআই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বেশ কয়েকবার সংলাপের প্রতি তার প্রতিশ্রæতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। শান্তিকে সুযোগ দিতে মোদির প্রতি আহ্বান জানান। তার আমন্ত্রণ বারবার প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। ভারতে একটি ডানপন্থী সরকার ক্ষমতায় এলে শান্তি আলোচনার জন্য ভালো হবে বলে ইমরান যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন তা সত্যি বলে প্রমাণিত হওয়ার সময় এখনো আসেনি। সম্পাদনা- কায়কোবাদ