এইচ এম জামাল: দেখতে অনেকটাই দাদী ইন্দিরা গান্ধীর মতো। রাজনৈতিক বিচক্ষণতার তুলনায় রাহুল গান্ধীর থেকে এগিয়ে তিনি। বলা হয়েছিল তিনিই নাকি উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের তুরুপের তাস। তবে বৃহস্পতিবার বেলা শেষে দেখা গেল ডাহা ফেল রাজীবকন্যা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। সংবাদ প্রতিদিন
এতদিন মা সোনিয়া এবং দাদা রাহুল গান্ধীর হয়ে রায়বরেলি ও আমেঠি নির্বাচনী কেন্দ্র দু’টি নেপথ্যে সামলে আসছিলেন। এই প্রথমবার এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর সরাসরি মোদির বিরদ্ধে ময়দানে নেমেছিলেন তিনি। তাঁকে দেখতে ব্যাপক উৎসাহ থাকলেও তা ভোটে পরিণত হয়নি। আপাতত প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে সেলফির বোতাম টিপলেও, ইভিএম-এ পদ্মফুলেই ছাপ দিয়েছেন ‘ফ্যান’রা। মোদির মতো ‘আগ্রাসী’ নেতার নেতৃত্বাধীন বিজেপিকে বেগ দিতে পারলেন না রাজীবকন্যা। পরীক্ষায় ডাহা ফেল হয়ে গেলেন প্রিয়াঙ্কা। তাই কংগ্রেসের ভরাডুবির পর প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আর কতটা প্রাসঙ্গিক, তা নিয়েই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আগামী দিনে তাঁকে কি কেউ আর কংগ্রেসের ক্যারিশমাটিক নেত্রী হিসেবে আদৌ জায়গা দেবেন? নাকি এই হার থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেকে আগুন পাখি হিসেবে তুলে ধরতে পারবেন প্রিয়াঙ্কা? তা সময়ই বলবে।
এক্সিট পোলের ফলাফলকে অস্বীকার করে দলীয় কর্মীদের ভোটগণনায় সজাগ থাকার বার্তা দিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। একই পাহারার কথা বলেছিলেন রাহুল গান্ধীও। কিন্তু দিনের শেষে দেখা গেল জনতা কংগ্রেসের থেকে মুখ ফিরিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলার দিকে রাহুলের বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিজের লোধি রোডের বাংলোয় চলে যান প্রিয়াঙ্কা। পরে ১০ জনপথে মা সোনিয়া গান্ধীর কাছে যান। কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে আলোচনায় ভেঙে না পড়ে হারের শিক্ষা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর শপথ নিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা ।