মুন্সি জাকির হোসেন : আপনারা যেটাকে স্ট্যান্ডবাজি মনে করেন, আমি সেটাকে পরিবর্তনের সূচনা মনে করি। অতীত ইতিহাস সম্পর্কে আপনার ধারণা কম, অভিজ্ঞতা কম সেটিকেও নির্দেশ করে! প্রান্তিক মানুষ, কৃষক, শ্রমিকদের সঙ্গে উঁচুতলার মানুষের যে ব্রাক্ষণবাদী আচরণ সেটি আপনি না জানলে সেখানে আপনার ব্যর্থতা। পরিবর্তনের সূচনা একটু দৃষ্টিকটু মনে হয়, মেনে নিতে কষ্ট হয়, সন্দেহজনক মনে হয়! একজন জেলা প্রশাসক ক্ষেতে নেমে ধান কাটছে, একজন এসপি ক্ষেতে নেমে ধান কাটছে, একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ক্ষেতে নেমে ধান কাটছে, এগুলোর একটি সিম্বলিক ভ্যালু আছে। এগুলো দিয়ে রাতারাতি কৃষকের অবস্থার পরিবর্তন হবে না! তবে এগুলো দিয়ে কৃষকদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হবে। এগুলো দিয়ে উঁচুতলার সমাজে কৃষকের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রমাণ করা সম্ভব।
ছাত্রলীগ যেটি করছে সেটি নিয়ে আপনি তামাশা করছেন! কারণ আপনাদের ধারণা ছাত্রলীগ মানেই চাপাতি লীগ, ছাত্রলীগ মানেই চাঁদাবাজ, ছাত্রলীগ মানেই বদমাশ! এগুলো মূলত আপনার মগজের ইনবিল্ট মরীচিকার ফসল। বন্যার সময় ছাত্রলীগ দিনে দশ হাজার রুটি বানাতো! এর অর্থ কি ছাত্রলীগ সারা বছরই রুটি বানায়? পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেয়া। ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ঝকঝকে পরিপাটি কাপড় পরে ধান কাটছেন, এটা নিয়ে আপনি ট্রল করার পূর্বে আপনি জীবনে কৃষকের জন্য কি কি করেছেন সেটা প্রকাশ করুন! আপনি এক লাইনও লিখতে পারবেন না! ধান্দাবাজি যদি ছাত্রলীগ করে সেই দোষে আপনিও দোষী। ফেসবুক থেকে