আব্দুর রাজ্জাক : হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এনে গতবছরই এর উপকরণ বর্জনের ডাক দেয় যুক্তরাষ্ট্র। গত ১৬ মে হুয়াওয়েকে কালোতালিকাভুক্ত করার পর বুধবার চীনা বৃহত্তম এই মোবাইল কোম্পানির পণ্য বর্জনে দক্ষিণ কোরিয়াসহ অন্যান্য মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানায় ওয়াশিংটন। সিএনএন, রয়টার্স
দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যম জানায়, হুয়াওয়ের পণ্য ব্যবহার না করতে সিউলকে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হচ্ছে। সম্প্রতি এক বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সিউলের কর্মকর্তাদের স্থানীয় এলজি ইউপ্লাস কোম্পানি নিয়ে উদ্বেগ জানায়। দক্ষিণ কোরীয় এই প্রযুক্তি কোম্পানি হুয়াওয়ের যে উপকরণগুলো আমদানি করে তা যেনো স্পর্শকাতর এলাকায় ব্যবহার না করার ব্যাপারে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
মার্কিন গণমাধ্যম জানায়, হুয়াওয়েকে যুক্তরাষ্ট্র কালোতালিকাভুক্ত করায় এর উপকরণ ও পণ্য বর্জন শুরু করেছে এশিয়া ও ইউরোপের কোম্পানিগুলো। সুপারফাস্ট মোবাইল নেটওয়ার্ক ৫জি নির্মাণে ইতোমধ্যেই হুয়াওয়ের পণ্য নিষিদ্ধ করেছে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ব্রিটেন।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল নিয়ন্ত্রণ কোম্পানি ভোডাফোন বুধবার জানায়, ব্রিটেনে হুয়াওয়ের মেট ২০এক্স (৫জি) স্মার্টফোন তৈরিতে চীনের বৃহত্তম এই মোবাইল কোম্পানিটির সঙ্গে বিদ্যমান সকল চুক্তি স্থগিত করা হয়েছে। ব্রিটেনের বৃহত্তম কোম্পানি ইইও হুয়াওয়ের স্মার্টফোন বাজারে আনা আটকে রেখেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানে দেশটির অন্যতম মিত্র জাপানও একই পদক্ষেপ নিয়েছে। হুয়াওয়ের সঙ্গে সকল চুক্তি স্থগিত করে এর পণ্য ও উপকরণ বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্যানাসনিকসহ জাপানের প্রধান প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো। স্মার্টফোনের রিজার্ভ নেয়া স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে এনটিটি ডুকোমো। হুয়াওয়ের নতুন কোনো স্মার্টফোন বাজারে ছাড়তে সময় নেয়ার কথা জানিয়েছে সফটব্যাংক ও কেডিডিআইও।
আপনার মতামত লিখুন :