শিরোনাম
◈ পাসপোর্ট অফিসে ভোগান্তি কিছুটা কমেছে, জনবল বাড়ানোর তাগিদ  ◈ কিরগিজস্তানের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ঘরে থাকার পরামর্শ দূতাবাসের ◈ কিরগিজস্তানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা: সাহায্য চাইলেন বাংলাদেশিরা  ◈ সংসদ ভবন এলাকায় দুই প‌ক্ষে‌র সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহত ◈ আবারও বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১১৮৪৬০ টাকা ◈ ভেবেছিলাম দেশের সমস্যা ক্ষণস্থায়ী, এখন আরও বেড়েছে: এডিটরস গিল্ড ◈ দেশের উন্নয়ন দেখে বিএনপি’র মাথা খারাপ হয়ে গেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ যুক্তরাষ্ট্র স্মার্ট প্রাণিসম্পদ প্রকল্পে ৩৪ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিবে ◈ সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ হলে কাঁচাবাজারে দাম কমবে: সাঈদ খোকন ◈ নরসিংদীতে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় মা-ছেলেসহ চারজন নিহত

প্রকাশিত : ২৩ মে, ২০১৯, ০৪:০৫ সকাল
আপডেট : ২৩ মে, ২০১৯, ০৪:০৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গণমাধ্যমকর্মী বনাম উদ্যোক্তা

মো. শামসুল আলম : মিডিয়ার এ ক্রান্তিকালে মিডিয়া নিয়ে বাংলাদেশের পত্রপত্রিকায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর লেখালেখি হচ্ছে। সাংবাদিকদের চাকরি, বেতনের সমস্যা থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠান হিসেবে মিডিয়ার সাফল্য, ব্যর্থতা নিয়ে অনেকেই তাদের মতামত দিচ্ছেন। মিডিয়ার লেখক বা পর্যবেক্ষক হিসেবে আমাদেরও নিজস্ব কিছু চিন্তাভাবনা তো আছেই। হয়তো এসব নিয়ে একাডেমিক লেখালখিও কিছু করি। তবে আজ ফেসবুকে এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনায় যেতে চাই না। আমি এ সংক্রান্ত অন্য এক প্রসঙ্গে কথা বলতে চাই যেটি আমার মাথায় কয়েকদিন থেকেই ঘুরপাক খাচ্ছে।

আমাদের সাংবাদিকতা শিক্ষার বা আমার সাংবাদিকতা শিক্ষার একটি মূল দুর্বলতা আমার কাছে মনে হচ্ছে- আমি শিখেছি কীভাবে একজন গণমাধ্যম কর্মী হওয়া যায়। আমি শিখিনি বা আমাকে সে স্বপ্ন দেখানো হয়নি যে কীভাবে মিডিয়ার একজন উদ্যোক্তা বা ব্যবসায়ী হওয়া যায়, কীভাবে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যায়। সাংবাদিকতায় আমরা বন্ধুরা তাই মাঝে মাঝেই আক্ষেপ করি আমাদের যদি একটি নিজস্ব প্রতিষ্ঠান থাকতো যতো ছোটই হোক, আমরা সেখানে কিছু সময় কাটাতে পারতাম। চিন্তামুক্ত, সুন্দর ও পবিত্র এক পরিবেশে কাজ করে দেখাতে পারতাম সৃজনশীলতার এক চরম উৎকর্ষ। যা ভিন্ন চিন্তাধারার, ভিন্ন এক ব্যবসার মালিকের প্রতিষ্ঠানে কখনো সম্ভব নয়।

অনেকে বলতে পারেন এতো টাকা কি যোগাড় করা সম্ভব ছিলো? কেন নয়? মিডিয়া সেক্টর ছাড়া অন্যান্য সেক্টরে এরকম উদাহরণ প্রচুর আছে। খুব অল্প টাকায় গার্মেন্টস বা অন্য ব্যবসা শুরু করে অনেকেই এখন বিশাল প্রতিষ্ঠানের মালিক। বেশ কয়েক বছর আগে আমি এক পরিচিত ছেলেকে আমার এক বন্ধুর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে সামান্য কয়েক হাজার টাকা বেতনে একটা চাকরি করে দিই। পরবর্তী সময়ে সে নিজেই উদ্যোক্তা হয়ে উঠে এবং বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। আজ সে কোটি কোটি টাকার মালিক। তার ছিলো স্বপ্ন। সে আমাদের মতো শুধু কর্মী হতে চায়নি। হতে চেয়েছিলো একজন উদ্যোক্তা এবং সে সেটা হতে পেরেছে।

সৎ উপায়েই। তার পরবর্তী বংশধররাও তার বিভিন্ন ব্যবসা থেকে উপকৃত হবে। আর আমাদের মাথায় ঢোকানো হয়েছে কর্মী বা দাস হওয়ার চিন্তা। চিন্তা করুন বহু বছর আগে আমরা যদি একটি ছোট প্রকাশনা দিয়ে শুরু করতাম, তা আজ হয়ত একটা মহীরুহে পরিণত হতো। আমি বিশ্বাস করি আমরা কয়েকবন্ধু একত্রিত হলে এটি অবশ্যই সম্ভব হতো! আমার মিয়ানমারের এক বন্ধু বিদেশে মাস্টার্স, পিএইচডি করে নিজের এলাকায় গিয়ে খুব ছোট আকারের একটি লিডারশিপ একাডেমি টাইপের প্রতিষ্ঠান খুলেছে। কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে সে চাকরি করেনি। হয়তো তার এ প্রতিষ্ঠানটি একদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ নেবে। আমি জানিনা অন্য কেউ এভাবে চিন্তা করেন কিনা কিন্তু ইদানীং চারিপাশের পরিস্থিতি দেখে আমি নিজেদের একটি স্বপ্নের মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের অভাব ভীষণভাবে অনুভব করি।  সৃজনশীল চিন্তাাভাবনার অন্যতম পূর্বশর্ত হচ্ছে স্বাধীন ভাবে কাজ করা। আশা করি মিডিয়া ও সাংবাদিকতার সাম্প্রতিক শিক্ষার্থীরা এটি মাথায় রাখবেন।নিজেকে কর্মী হিসেবে চিন্তা না করে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলুন। নতুবা আমাদের মত পরবর্তীতে পড়বেন! ফেসবুক থেকে

 

 

 

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়