আসিফ কাজল : বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী যারা প্রকাশ্যে ছিল তাদের বিচার হয়েছে। কিন্তু যারা নেপথ্যে ছিল তাদের বিচার হয়নি। নেপথ্যে থাকা ব্যক্তিগুলোকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা এখন সময়ের দাবি। আওয়ামী লীগের সময় এসেছে মুক্তিযুদ্ধের ফ্যাক্ট চেক করার। মুক্তিযুদ্ধের সময়কালে কে কী দায়িত্ব পালন করেছে, কার কি অবদান- তা গবেষণা করে বের করতে হবে ও জাতির সামনে প্রকাশ করতে হবে।
বুধবার ২২ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও বর্তমান বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, গঙ্গা পানি চুক্তি, সীমান্ত চুক্তি, সমুদ্র জয় সবকিছু সম্ভব হয়েছে একমাত্র শেখ হাসিনার কারণে। বঙ্গবন্ধুর পর আমরা শেখ হাসিনার কণ্ঠেই জাতিসংঘ অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ শুনতে পেয়েছি।
১৯৮১ সালের ১৭ই মে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনের সেই দিনটি স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, দিনটি ছিল ঝড়, বাতাস ও বৃষ্টিস্নাত। অথচ সবকিছু উপেক্ষা করে লাখ লাখ মানুষ শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে ছুটে এসেছিল। ৭৫ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের সংবিধানকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছিল, শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন না হলে আমরা আমাদের সংবিধান ফেরত পেতাম না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ফিরে পেতাম না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থাকতো না।
তিনি আরও বলেন, একমাত্র শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে আজ জামায়াতের নেতাকর্মীরা থেকেও নেই। গত নির্বাচনে তাদের কবর রচনা করা হয়েছে। বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম আয়োজিত অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান।
আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রশিদ আসকারী, কবি প্রাবন্ধিক অধ্যাপক গাউসুর রহমান, অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ প্রমুখ।