২০ মে সাইন্সল্যাবের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম, হঠাৎ পুলিশ বক্সের দিকে তাকিয়ে দেখলামÑ পুলিশ বক্সের এক কোনায় এই পুলিশ ভাই ইফতারের আয়োজন করছেন। এই পুলিশ ভাইয়ের দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে তাকিয়ে ভাবলাম, এই মানুষগুলো কি পরিবারের সাথে ইফতার করার অধিকার রাখে না?
নিজের প্রশ্নের উত্তর নিজে দিতেই ব্যর্থ হয়েছিলাম। এই সমাজে পুলিশের পরিচয় শুধু (হাতেগোনা কতিপয় মানুষের জন্য, ঘুষখোর, চাঁদাবাজ) অথচ এই মানুষগুলোর জন্যই প্রতিটি মানুষ নিরাপত্তার সাথে নিজ নিজ ঘরে ফিরতে পারছে। এই রমজানে গরমের মধ্যে আমরা সবাই তাড়াতাড়ি কীভাবে বাড়ি ফিরবো তা চিন্তা করে থাকি। অথচ তাদেরকে এই রমজানে সারাদিন রোদের মধ্যেও সার্বক্ষণিক তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত থাকতে হয়।
ইফতারের কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে আমরা সবাই ইফতার সামনে নিয়ে বসে থাকি অথচ তখনো এই মানুষগুলো এই শহরের প্রতিটি যানবাহকে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার জন্য নিয়োজিত থাকেন। আমি যখন এই পুলিশ ভাইকে ইফতার তৈরিতে ব্যস্ত থাকতে দেখি তখন আরো ৬ জন পুলিশ সদস্য রাস্তায় গাড়ি নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত ছিলো তার পরও এই মানুষগুলো খারাপ...হায়রে দুনিয়া!
দেশে সরকারি/বেসরকারি চাকরির প্রতিটি সেক্টরে নির্দিষ্ট কর্মঘন্টা বেধে দেওয়া হলেও পুলিশের নির্দিষ্ট কোনো কর্মঘণ্টা নেই। কেননা ২৪ টা ঘণ্টাই তাদের জন্য কর্মঘণ্টা! দেশ ও জনগণের সেবায় সর্বদা নিয়োজিত থাকতে হয় তাদের। যাদের কাছে ঝড়, বৃষ্টি, দুর্যোগ, খরা, পরিবার-পরিজন, সন্তানসহ সবকিছু তুচ্ছ! তাদের লক্ষ্য জেগে থাকা মানুষদের সেবা করা, আর ঘুমিয়ে থাকা মানুষদের নিরাপত্তা প্রদান করা। এই মানুষদেরকে সমাজের প্রতিটি স্তর থেকে সম্মান জানানো উচিত! বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে জানাই হাজারো সালাম। স্যালুট বাংলাদেশ পুলিশ! সংগৃহীত
আপনার মতামত লিখুন :