হাজী সুমন কাজী : প্রতি বছর রমজান আসলেই অস্থির হয়ে উঠে দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার। ২০১৯ সালও তার ব্যতিক্রম নয়। এর কোনো যৌক্তিক কারণও নেই। দেশে সব পণ্যেরই মজুত ও সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। এরপরও বাড়ছে মাছ, মাংস, ডিম, তেল, সবজি ও পেঁয়াজের মতো খাদ্যপণ্যের দাম। অন্যান্য ধর্মালম্বীরা তাদের দেশে ভর্তুকি দিয়ে হলেও ধর্মীয় উৎসবের সময় নিত্যপণ্যের দাম কমিয়ে দেন। আর আমরা দেই বাড়িয়ে। সত্যি একজন ব্যবসায়ী হিসেবে লজ্জা লাগে।
কারণটা পরিস্কার, একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী এই মাসের জিনিসপত্রের অতিরিক্ত চাহিদার সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না। তাই এই মূল্যবৃদ্ধি। একটি চক্র এর সঙ্গে যুক্ত। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের বিশেষ তদারকি টিম বাজারে কাজ করলেও এর সুফল পাচ্ছেন না ভোক্তারা। উল্টো বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের মূল্য। এতে বিপাকে পড়ছেন সমাজের কম আয়ের মানুষ। বিষয়টি নিয়ে কিছুটা উদ্বিগ্ন সরকারও।
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, আমরা কিছুই জানি না। পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে, তাই আমরাও বাড়তি দামে বিক্রি করছি। কেউ কেউ বলছেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হলে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে। তবে পণ্যের সরবরাহে কোনও সমস্যা না থাকলেও দাম বেড়েছে কেন, এই প্রশ্নের উত্তর নাই কারো কাছে। একজন ব্যবসায়ী হিসেবে আমরাও লজ্জা পাই, যখন দেখি যৌক্তিক কোন কারণ ছাড়া অনৈতিকভাবে রমজানের মতো একটি পবিত্র মাসে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়া হয়। সরকারকে এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আরো কঠোর হওয়ার আহ্বান করছি।
লেখক : রাজনীতিবিদ
আপনার মতামত লিখুন :