জয়নুল আবেদীন,আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি : বরগুনার আমতলীতে অষ্টম শ্রেণির মাদ্রাসা পড়ুয়া এক ছাত্রীকে দুই বখাটে মহিবুল ও মেহেদী মাল চাকু ঠেকিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই দুই বখাটের কারণে ওই ছাত্রী গত মার্চ মাস থেকে মাদ্রাসা যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এ ঘটনায় মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা সোমবার বাদী হয়ে বরগুনা নারী ও শিশু নিযার্তন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছেন। আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে আমাতলী উপজেলা চেয়ারম্যান মো. গোলাম সরোয়ার ফোরকানকে ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
জানাগেছে, উপজেলার ঘোপখালী দাখিল মাদ্রাসায় ওই গ্রামের এক ছাত্রী অষ্টম শ্রেণিতে লেখাপাড়া করে আসছে। মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে ওই ছাত্রীকে ঘোপখালী গ্রামের ইউনুস হাওলাদারের ছেলে মহিবুল এবং একই গ্রামের নাসির মালের ছেলে মেহেদী মাল দীর্ঘদিন ধরে উত্যক্ত করে আসছিল। এ ঘটনা ওই ছাত্রী তার পরিবারের কাছে জানালে। ছাত্রীর বাবা ওই দুই বখাটের অভিভাবকদের কাছে প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ দেন।
কিন্তু তাতে কোন কর্ণপাত করেনি বখাটেদের অভিভাবকরা। বখাটেদের অত্যাচারে ওই ছাত্রী গত মার্চ মাস থেকে মাদ্রাসা যাওয়া বন্ধ করে দেয়। মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ করে দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয় দুই বখাটে। গত বৃহস্পতিবার বিকালে বখাটে মহিবুল ও মেহেদী মাল ঘরে ঢুকে মেয়েটিকে চাকু ঠেকিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। মেয়েটির ডাক চিৎকারে ধর্ষণে ব্যর্থ হয় তারা। পরে মেয়েটিকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার সময় ওই দুই বখাটেকে স্থানীয় লোকজন আটক করে। ঘন্টাখানেক পরে ওই দুই বখাটে কৌশলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা বাদী হয়ে সোমবার বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দুই বখাটে মহিবুল ও মেহেদী মালকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান মামলটি আমলে নিয়ে আমতলী উপজেলা চেয়ারম্যান মো. গোলাম সরোয়ার ফোরকানকে ৭ দিনে মধ্যে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার খবর পেয়ে দুই বখাটে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।
মেয়েটির বাবা বলেন, আমার মেয়েকে মাদ্রাসা আসা-যাওয়ার পথে মহিবুল ও মেহেদী মাল প্রায়ই উত্যাক্ত করে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। ওদের কারণে আমার মেয়েকে গত দুই মাস ধরে মাদ্রাসা যাওয়া বন্ধ করে দেই। বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই বখাটেরা চাকু ঠেকিয়ে আমার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। মেয়ের ডাক চিৎকারে তারা ধর্ষণে ব্যর্থ হয়। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
আমতলী উপজেলা চেয়ারম্যান মো. গোলাম সরোয়ার ফোরকান বলেন, আমি এখনো আদালতের নথিপত্র পাইনি। নথিপত্র পেলে যথাসময়ে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :