শিরোনাম
◈ ‘তুমি কেন ফুয়েল কেটে দিলে?’ ভারতীয় বিমান বিধ্বস্তের আগে পাইলটদের শেষ ককপিট ভয়েস রেকর্ডিং ◈ দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসীদের জন্য সুখবর: মৃত্যু হলে লাশ দেশে পাঠাবে সরকার, ক্ষতিপূরণ মিলবে বীমার আওতায় (ভিডিও) ◈ বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে যাচ্ছে ভারত: পিউ রিসার্চ ◈ বেপরোয়া বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘাতে ছয় মাসে নিহত ৪৩ ◈ স্প‌্যা‌নিশ ক্যাবরেরাই থাক‌ছেন বাংলা‌দেশ ফুটবল দ‌লের কোচ ◈ সন্ধ‌্যায় নেপালের বিরু‌দ্ধে লড়াই‌য়ে নাম‌ছে বাংলা‌দে‌শের মে‌য়েরা ◈ ঢাকায় হবে এশিয়া কাপের সভা, ভারত অংশ নে‌বে না ◈ এবার যে কারণে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করলেন ড. ফয়জুল হক ◈ ফিলিস্তিনকে অবিলম্বে স্বীকৃতি দিতে ব্রিটিশ সরকারকে ৬০ জন এমপির চিঠি ◈ সায়মা ওয়াজেদের ছুটি জবাবদিহির পথে গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ : প্রেসসচিব

প্রকাশিত : ২০ মে, ২০১৯, ০৩:২৪ রাত
আপডেট : ২০ মে, ২০১৯, ০৩:২৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গণমাধ্যমের স্বাধীনতার দৃষ্টিকোণ থেকে উচ্চ আদালত প্রশাসনের নির্দেশনা স্পষ্ট করার আহ্বান এডিটরস গিল্ডের

আবুল বাশার : বিচারাধীন বিষয়ে সংবাদ পরিবেশনে ‘বিরত’ থাকতে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের নির্দেশনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিষয়টি স্পষ্ট করার আহ্বান জানিয়েছে এডিটরস গিল্ড, বাংলাদেশ। গিল্ডের নির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি তৌফিক ইমরোজ খালিদী রোববার এক বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে গত ১৬ মে বৃহস্পতিবার বিচারাধীন বিষয়ে সংবাদ পরিবেশনে বিরত থাকার একটি নির্দেশনা আসে। হাই কোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় বলা হয়, ‘ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কোনো ইলেকট্রনিক মিডিয়া তাদের চ্যানেলে এবং কোনো কোনো প্রিন্ট মিডিয়া তাদের পত্রিকায় বিচারাধীন মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে সংবাদ পরিবেশন/স্ক্রল করছে, যা একেবারেই অনভিপ্রেত। এমতাবস্থায়, বিচারাধীন কোনো বিষয়ে সংবাদ পরিবেশন/স্ক্রল করা হতে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল।’

নির্দেশনাটি যে ভাষায় দেওয়া হয়েছে, তা অনুসরণ করতে গেলে বিচারাধীন কোনো মামলার কোনো বিষয়েই সংবাদ পরিবেশন করা যাবে না।
আদালতে শুনানিকালে বিচারক ও আইনজীবীদের মধ্যে যে কথোপকথন (বীপযধহমবং) হয়, সেগুলো গুরুত্বপূর্ণ বা প্রাসঙ্গিক মনে করলে গণমাধ্যম অনেক সময় তা প্রকাশ করে।

তবে আদালতের কার্যক্রম নিয়ে কোনো ধরনের পর্যবেক্ষণ বা মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার বিষয়ে আমরা একমত এবং সে বিষয়ে সচেতন থাকার জন্য আমরাও সকলের প্রতি আহ্বান জানাই। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন আলোচিত মামলার বিচারের অগ্রগতি ও শুনানির সংবাদ গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ ও প্রচার করে এসেছে গণমাধ্যম।

আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, শারমিন রীমা হত্যা, শাজনীন হত্যা থেকে শুরু করে ২১ অগাস্টের গ্রেনেড হামলা, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানিকালে আদালতকক্ষের কর্মকাণ্ডের খবর গণমাধ্যমে সবিস্তারে এসেছে নিয়মিতভাবে।

এতদিন ধরে যেভাবে সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার চলে আসছে, সেটাকে ‘ইদানিং’ হিসেবে বর্ণনা করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের হঠাৎ কেন ওই নির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন হল, তা স্পষ্ট করা হয়নি।

এই নির্দেশনা অনুসরণ করতে গেলে যে কোনো ঘটনার বিচার শেষে রায় হলে কেবল তখনই সংবাদ প্রকাশ কিংবা প্রচার করা যাবে।
পাঠক, দর্শক, শ্রোতা তথা জনসাধারণের কাছে তথ্য পৌঁছে দেওয়ার কাজে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি স্পষ্ট করা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি।

আমরা মনে করি, রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গ-- শাসন বিভাগ/নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ, আইন সভা-- প্রত্যেক ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। সেই দৃষ্টিকোণ থেকেই আদালত প্রশাসনের নির্দেশনার বিষয়টি স্পষ্ট করা প্রয়োজন বলে আমাদের বিশ্বাস। খবর বিজ্ঞপ্তি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়