শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৯ মে, ২০১৯, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ১৯ মে, ২০১৯, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভবিষ্যতে শুধু বাঙালিত্বকে ভিত্তি করে দুই বাংলার মিলন আবার সম্ভব?

বিপ্লব পাল : সিপিএমের প্রচুর লোকজন বাম থেকে রামে যাচ্ছে... যাচ্ছে মানে এতে ভোটের ফলাফলও নাকি ঘুরে যেতে পারে! সিপিএমের যে অংশটা বাম থেকে রামে যাচ্ছে, তাতে অবাক হওয়ার কি কিছু আছে? ওটা ছিলো সুবিধাভোগী বাঙালি মধ্যবিত্ত। এখানে আদর্শ তত্ত্বের প্রশ্ন উঠে না। গণতন্ত্রে সবাই আগে নিজেদারটাই দেখে। এটাই বাস্তব। নিঃস্বার্থ আদর্শে বিশ্বাসী গুটিকয় লোক আছে অবশ্যই। কিন্তু সাধারণ জনগণ নিজেদেরটাই আগে দেখবে।

দেশভাগের কারণে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বাঙালি হিন্দুরা। সুতরাং চাপা মুসলিম বিদ্বেষ, সাম্প্রদায়িকতা বরাবরই ছিলো। তা সত্ত্বেও বাঙালি হিন্দুরা বিজেপির (বা অতীতে জনসঙ্ঘ) দিকে ঝুঁকেনি... তার কারণ মূলত তিনটে। ১৯৭২-৭৭ কংগ্রেসের গু-ামোর বিরুদ্ধে একমাত্র সিপিএমই ফাইট দিয়েছে। আর এস এস পারেনি। ফলে দেশভাগের ফলে হিন্দুদের ক্ষোভ যে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ছিলো তার ফসল তুলেছিলো সিপিএম। বাঙালদের একটা বড় ভোট সিপিএমে যেতো। কেন? কারণ তারা তাদের দুর্দশার জন্য বরাবর নেহেরুকেই দায়ী করেছে। অথচ সিপিএম রিফিউজিদের উপহার দিয়েছে মরিঝাঁপি।

সিপিএম একবার ক্ষমতা দখলের পর, পার্টির মাধ্যমে যেভাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে তাতে মধ্যবিত্ত হিন্দু শ্রেণি... যারা বরাবরই নিজেদের বিবেক, মান-ইজ্জত বেচে ক্ষমতাসীনদের হাতে নিজেদের নিলাম করতে সিদ্ধহস্ত... তারা ভেতরে যতোই সাম্প্রদায়িক হোক না কেন, নিজেদের ভালোর জন্য সিপিএম করতো। ৯০ শতাংশ ওই রকম। ১০ শতাংশের হয়তো একটু আদর্শগত বেজ ছিলো। তারা এখন একটু-আধটু রাম টানতেই পারে। আরেকটা বড় সমস্যা অবশ্যই এই যে, বিজেপি উত্তর ভারতের হিন্দুত্বকে বাঙালির উপর চাপাতে চেয়েছে। এখনও তাই। বাংলায় যে হিন্দু ধর্মটা চলে... তা বৈদিক নয়। এটি বৈষ্ণব, সহজিয়া, বৌদ্ধ, সুফী, বাউল, ব্রাহ্ম... ইত্যাদি মিশিয়ে বাঙালি নিজস্ব হিন্দুত্ব। ফলে ওই পার্টিটার সঙ্গে বাঙালির আত্মিক যোগ কোনোদিনই হয়নি। এখনও নেই। সেটাই মূল কারণ এবারো শ্যন্য হাতে ফিরবে বিজেপি। আল্টিমেটলি তৃণমূল লড়াইটা বাঙালি জাতীয়তাবাদ বনাম হিন্দিভাষী জাতীয়তাবাদে টানতে পেরেছে। এটা আগে করতে পারলে আরো ভালো হতো।

বাঙালির নিজস্ব সাহিত্য, গান, সংস্কৃতি-ধর্ম আছে। আরব বা উত্তর ভারত থেকে রাজনৈতিক কারণে ইসলাম এবং বৈদিক হিন্দু ধর্ম বাঙালি ভূ-খ-ে এসেছিলো। যার ফল এই যে বাঙালির দেহ আজ দ্বিখ-িত। বাংলাদেশিরা যদি তাদের দেশে ইসলামিক সংস্কৃতিকে রুখতে পারে, পশ্চিমবঙ্গে যদি বাঙালিরা উত্তর ভারতের হিন্দুত্বকে রুখতে পারে (এই নির্বাচনেই সেটা জানা যাবে)... তাহলে ভবিষ্যতে শুধু বাঙালিত্বকে ভিত্তি করে দুই বাংলার মিলন আবার সম্ভব। ১৯৪৭ সালে ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ... বাঙালি জাতির ইতিহাসের আল নাকবা। বিপর্যয়। এবার যেটুকু বাঙালিত্ব বেঁচে আছে, সেটাও যদি আরব আর উত্তর ভারতের দখলে চলে যায় তাহলে বাঙালি জাতিটাই উদ্বাস্তু হবে। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়