আব্দুর রাজ্জাক : এদের মধ্যে ৪১০ শিশু ও ১শ প্রাপ্তবয়স্ক। ওই চিকিৎসকের নাম মুজাফ্ফর ঘাংঘারো। এ মাসের প্রধমদিকে ওই চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে। এনডিটিভি, গার্ডিয়ান
কর্তৃপক্ষ জানায়, পাকিস্তানের লারকানায় গত এপ্রিলে এইচআইভি’র প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে মুজাফ্ফর ঘাংঘারো আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত ছিলেন।
সিন্ধু প্রদেশের এইডস নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের প্রধান সিকান্দার মেমন বলেন, লারকানা শহরে ১৩ হাজার ৮শ মানুষের শরীরে এইচআইভি পরীক্ষা করা হলে এ তথ্য উঠে আসে।
১০ বছর বয়সী আলি রেজার মা রেহমাত বিবি এপিকে বলেন, ‘সম্প্রতি আলি রেজা যখন জরে আক্রান্ত হয় তাকে চিকিৎসকের কাছে নেয়া হয়। প্যারাসিটামল সিরাপ দিয়ে চিকিৎসক জানায়, উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। কিন্তু যখন দেখলাম পার্শবর্তী গ্রামের অনেক বাচ্চার শরীরে এইডস এর ভাইরাস ধরা পড়ছে এবং তাদের লক্ষণগুলোও অনুরুপ তখন বিষয়টি বেশ ভাবিয়ে তোলে। পরে পরীক্ষায় আলি রেজার শরীরেও এইডস এর ভাইরাস পাওয়ায় যায়।’
পাকিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে প্রায় ২৩ হাজার এইডস রোগী রয়েছে। তাদের অধিকাংশই আক্রান্ত হয়েছে দূষিত সিরিঞ্জ ব্যবহারের ফলে। আর মুজাফ্ফর ঘাংঘারোও একই উপায়ে লারকানায় এই ভাইরাস ছড়িয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আপনার মতামত লিখুন :