রাশিদ রিয়াজ : এসব চীনা ও পাকিস্তানি প্রতিষ্ঠান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রযুক্তি আমদানির পর তা ইরানে রফতানি করবে এমন অভিযোগে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ ঘোষণা দিয়ে বলেছে, মার্কিন নিয়ন্ত্রিত প্রযুক্তি এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ইরানে চলে গেলে তা মারাত্মক বিধ্বংসী অস্ত্র তৈরির কাজে ব্যবহৃত হতে পারে। স্পুটনিক ইন্টারন্যাশনাল
চীনের চারটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলো ইতিমধ্যে ইরানের জন্যে মার্কিন সামরিক প্রযুক্তি কেনার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এবং এসব প্রযুক্তি ইরানে চলে গেলে ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র তৈরি হতে পারে। চীন ও পাকিস্তান ছাড়াও আমিরাতের আরো চারটি ব্যক্তি উদ্যোগে কিছু মার্কিনি পণ্য ইরানের মাহান এয়ারের জন্যে কেনার চেষ্টা চলছিল। কিন্তু ২০১১ সাল থেকে মাহান এয়ারলাইন্সের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে চাইনিজ পিপলস লিবারেশন আর্মির সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে এমন দুটি চীনা প্রতিষ্ঠান কিছু স্পর্শকাতর মার্কিন পণ্য কিনতে চাওয়ায় তাদেরকেও বাণিজ্যিকি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ওয়াশিংটন।
মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী উইলবার রস বলেছেন, প্রযুক্তির এমন স্থানান্তর হতে দেয়া যায় না যা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তাকে বিঘœ করতে পারে। তিনি পাকিস্তানের একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, প্রতিষ্ঠানটি পারমানবিক প্রযুক্তি ইরানের স্থানান্তরের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। এছাড়া আমিরাতের এক ব্যক্তিও এধরনের তৎপরতার সঙ্গে জড়িত ছিল।
আপনার মতামত লিখুন :