শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৪ মে, ২০১৯, ১০:০৭ দুপুর
আপডেট : ১৪ মে, ২০১৯, ১০:০৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সিংগাইরে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজাল

সিরাজুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : সিংগাইর উপজেলার তালেবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী শাবনুরের মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। নিহতের পরিবারের দাবী শাবনুরকে হত্যা করা হয়েছে। অপর একটি সূত্র জানিয়েছে প্রেম সংঘটিত একটি চিঠির সূত্র ধরে স্কুল শিক্ষিকা ঝর্না রানী সরকারের সতর্ক বার্তায় লজ্জা-অপমানে সে আত্মহত্যা করেছে। দিন যতই যাচ্ছে মৃত্যু রহস্য বিভিন্ন ভাবে ঘুর পাক খাচ্ছে। এ নিয়ে থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই ফরহাদ হোসেন ময়না তদন্ত রিপোর্ট ছাড়া এ বিষয়ে মন্তব্য করতে নারাজ।

গত মঙ্গলবার সরেজমিন ইরতা গ্রামে গিয়ে কথা হয় নিহতের পিতা বাবুল হোসেনের সঙ্গে । তিনি জানান, ১৬ বছর আগে ভোলা জেলার বোরহান উদ্দিন থানার ভাটামারা গ্রাম থেকে জীবিকার সন্ধানে স্বপরিবারে সিংগাইরের ওই গ্রামে চলে আসেন। নিজে রাজমিস্ত্রি ও স্ত্রী জহুরা খাতুন অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করেন। দুই মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে বড় মেয়ের বিয়ে হলেও বাকি দু’সন্তান নিয়ে আনিছুর রহমান সবুজের বাড়িতে ভাড়া থাকেন তারা। গত ২৮ এপ্রিল তাদের পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া। অন্যান্য দিনের মতো ওইদিনও বাবুল ও তার স্ত্রী কাজে চলে যায়। সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে প্রাইভেট পড়া শেষে বোন শাবনুরের ঝুলন্ত লাশ ঘরের আড়ার সাথে দেখতে পায় নিহতের ছোট ভাই জিহাদ (৯)। খবর পেয়ে কর্মস্থল থেকে ছুটে আসে তার বাবা-মা। নিহতের পিতা মো. বাবুল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ফাঁকা বাড়িতে তার মেয়েকে কে বা কারা পাশবিক নির্যাতনের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখে যায়। বাবুলের স্ত্রী জহুরা খাতুন বলেন, আমার মেয়ের হাতে ও গলায় নির্যাতনের চিহ্ন দেখা গেছে। তবে স্কুলে শিক্ষিকার কাছে মেয়ের প্রেম পত্র আটক এবং শাসনের খবর মৃত্যুর পর জানতে পেরেছেন বলে তারা স্বীকার করেন। সেই সাথে শাবনুরের মৃত্যুর কারণ উদঘাটনসহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন পরিবারটি।

তালেবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা ঝর্ণা রানী সরকার বলেন, সহপাঠিরা শাবনুরের বইয়ের ভিতরে প্রেম সংক্রান্ত চিঠি পেয়ে আমার কাছে জমা দিলে আমি তাকে সতর্ক করি । এ ঘটনার দু’দিন পর তার মৃত্যুর খবর পাই। এ সামান্য সতর্ক বার্তা শাবনুরের আত্মহত্যার কারণ হতে পারে না বলেও তিনি দাবি করেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক ভবেশ চন্দ্র সরকার বলেন, শিক্ষিকার সতর্ক করার দু’দিন পর শাবনুরের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর সাথে স্কুলের ঘটনার কোন সম্পর্ক নেই।এ ব্যাপারে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবুল কালাম সামছুদ্দিন বলেন, আমি যতটুকু জানি প্রেম পত্র পেয়ে স্কুল শিক্ষিকা ঝর্না রানী শাবনুরকে এমন ঘটনা থেকে বিরত থাকতে বুঝিয়েছিল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়