শিরোনাম
◈ রৌমারীতে পাহাড়ি ঢলে সাঁকো ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, ভোগান্তিতে ৩০ হাজার মানুষ ◈ পাকিস্তানকে নরক বলে বিতর্কের ঝড় তুললেন জাভেদ আখতার ◈ অভিনয়ের জন্য হয়রানি? নুসরাত ফারিয়ার গ্রেফতার নিয়ে প্রশ্ন ◈ দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি-প্রোভিসি নিয়োগে সার্চ কমিটি ◈ ভারতের নিষেধাজ্ঞায়  প্রথম দিনেই রফতানি কমেছে ৬০ শতাংস ◈ আরব আমিরাতের বিরু‌দ্ধে আ‌রো এক‌টি ম্যাচ বাড়‌লো ◈ ১০ হাজারেরও বেশি হয়রানিমূলক রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ◈ আওয়ামী লীগের ডিএনএতেই গণতন্ত্র নেই: সালাহউদ্দিন আহমদ ◈ সর্বনিম্ন এডিপি বাস্তবায়নে রেকর্ড গড়ল ২০২৪-২৫ অর্থবছর ◈ এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কলম বিরতি সাময়িক স্থগিত

প্রকাশিত : ১১ মে, ২০১৯, ১১:৫১ দুপুর
আপডেট : ১১ মে, ২০১৯, ১১:৫১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পানির অপচয় রোধের পরামর্শ

সুজিৎ নন্দী : রাজধানীতে পানির সংকট নেই দাবি ঢাকা ওয়াসার। তবে পানি না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন গ্রাহকরা। ওয়াসার কর্মকর্তারা জানান, পাম্পের উৎপাদন ক্ষমতা কমে যাওয়া, পানির স্তর নেমে যাওয়া এবং বিদ্যুৎ-বিভ্রাটজনিত কারণে পানির উৎপাদন অনেক কম। সব মিলিয়েই ঢাকায় পানির তীব্র সংকট। বেশ কিছু এলাকায় পানিতে ময়লা ও দুর্গন্ধজনিত সংকট আছেই। অনেক এলাকায় মানুষ দুইদিনে একবার গোসল করছেন।

শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া ও আশপাশের এলাকায়ও পানি নেই। সেনপাড়া-পর্বতা এলাকার ওয়াসার পাম্পস্টেশনে মানুষ পানির সমস্যা জানতে এসেছেন। তারা জানান, শুষ্ক মৌসুম এলেই পুরো মিরপুর-কল্যানপুর এলাকায় পানি সমস্যা দেখা যায়।

ওয়াসার অপারেশন বিভাগ জানায়, তাদের হিসাবে সায়েদাবাদ, চাঁদনী চক, নারায়ণগঞ্জ পানি শোধনাগার এবং ৮২৩টি গভীর নলকূপের সাহায্যে প্রতিদিন পানির উৎপাদন ২৫৫ কোটি লিটার। পানির চাহিদা ২১০ থেকে ২৩৫ কোটি লিটার। বাস্তবে উৎপাদন কম হচ্ছে। অন্যদিকে পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী, রাজধানীতে প্রতিবছর ৫ শতাংশ হারে জনসংখ্যা বাড়ে। সে হিসাবে পানির চাহিদা বাড়ার হারও ধরা হয় ৫ শতাংশ। তাই পানির চাহিদাও অনেক বেশি।

ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান বলেছিলেন, শুষ্ক মৌসুমে পানির সংকট হয়। রেশনিং পদ্ধতিতে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি যে পরিমাণ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে, তাতে পানির সমস্যা থাকার কথা না। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে অপচয়ের কারণে এ সংকট তৈরি হয়। এখানে ৮৭২টি গভীর নলকূপ ও ৫টি পানি শোধনাগারের মাধ্যমে ঢাকার দৈনিক পানির চাহিদার পুরোটাই পূরণ করছে ওয়াসা। কালকের মধ্যে মিরপুরে পানি সংকট অনেক কমে যাবে।

অন্যদিকে সারা বছরই নাখালপাড়া, কল্যানপুর, মুগদা, ভাষানটেক, জুরাইন, মতিঝিল, চকবাজার, হাজারীবাগ, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, ইব্রাহিমপুর, কচুক্ষেত, মিরপুর-১১সহ পুরো মিরপুর, নন্দীপাড়া, জগন্নাথপুর, উত্তরা-৬ ও ৭ নম্বর, সূত্রাপুরসহ পুরান ঢাকার বেশিরভাগ এলাকা পানি সংকট থাকেই । ২০১২ সাল থেকে রামপুরা, বনশ্রী, সিদ্ধেশ্বরী, সেগুণবাগিচা পানি সংকট চলছেই। খুব শিঘ্রই পানি সংকট দূর হবে বলে জানান ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

পানির পাইপে ছিদ্র, পানিতে দুর্গন্ধ, বাড়িতে পানি নেই, পাইপ দিয়ে নোংরা পানি আসছে, পানির বিল আসছে না, বিল বেশি আসছে, মিটারের তথ্য ভুল-ঢাকা শহরে কোথাও না কোথাও এ সমস্যা আছেই। এটিও দ্রুত সমাধান হবে বলে জানান তাকসিম এ খান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়