শিরোনাম
◈ সরকারি চাকরির সংশোধিত অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশ ◈ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাতেই হাসপাতালে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া ◈ এক লাখ ৪০ হাজার টন সার আমদানি করছে সরকার ◈ তিন শিক্ষার্থী ও দুই জন অভিভাবক এখনো নিখোঁজ, বলছে স্কুল কর্তৃপক্ষ ◈ বাংলাদেশ ব্যাংকে শালীন ও পেশাদার পোশাকের নির্দেশনা, নারী-পুরুষ কর্মীদের জন্য স্পষ্ট বিধি ◈ আগামী বছরের প্রথমার্ধেই নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির (ভিডিও) ◈ যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ি ◈ আই‌সি‌সির টি-‌টো‌য়ে‌ন্টি বো‌লিং র‍্যাঙ্কিংয়ে সেরা দশে মোস্তাফিজ ◈ ঢাকায় পি‌সি‌বির সভাপ‌তি, ভারত ও শ্রীলঙ্কা ছাড়াই বৃহস্প‌তিবার  শুরু হ‌চ্ছে এসিসির সভা ◈ মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ২২ মরদেহ হস্তান্তর

প্রকাশিত : ০৯ মে, ২০১৯, ১২:১৩ দুপুর
আপডেট : ০৯ মে, ২০১৯, ১২:১৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গাজীপুরে অগ্নিঝুঁকিতে দুই শতাধিক পোশাক কারখানা

নিউজ ডেস্ক : গাজীপুরের শতাধিক পোশাক কারখানা ও বহুতল ভবনে নেই পর্যাপ্ত অগ্নিপ্রতিরোধ ব্যবস্থা। কারখানা ও ভবনগুলোর কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির পাশাপাশি লাখ লাখ মানুষ, বিশেষ করে শ্রমিকরা রয়েছেন মারাত্মক অগ্নিঝুঁকির মধ্যে। গাজীপুরের প্রায় দেড়হাজার পোশাক কারখানা ও বহুতল ভবনের কমপক্ষে ২ শতাধিক কারখানাই রয়েছে অগ্নিঝুঁকিতে।
সম্প্রতি ঢাকার বিভিন্নস্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নড়েচড়ে উঠেছে গাজীপুর ফায়ার সার্ভিস বিভাগ। তাদের পক্ষ থেকে অগ্নিঝুঁকি কমাতে এবং ত্রুটিপূর্ণ ভবন মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হলেও তা যথেষ্ট নয়। জেলা ও মহানগরের অনেক পোশাক কারখানার শ্রমিকরা জানায়, তাদের কারখানায় স্থায়ী অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা নেই। পানির পাম্প, গ্যাস মাস্কসহ ডিটেক্টর, আলাদা বহির্গমন পথ, ভবনের উপরে ও নিচে সংরক্ষিত পানির ব্যবস্থা, ফায়ার এক্সটিংগুইশারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা অনেক প্রতিষ্ঠানেই রাখা হয়। কোথাও কোথাও লোক দেখানো দু’একটি ফায়ার এক্সটিংগুইশার ঝোলানো থাকলেও এসবের কোনো কোনোটি মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এই অবস্থায় মনে আগুনের ভয়-ভীতি নিয়েও জীবনের তাগিদে, সংসারের প্রয়োজনে নিরাপত্তাহীনতায় কাজ করছেন তারা।

দু’মাস আগে ঢাকার কয়েকটি ভবনে আগুন লাগার পর মাঠে নেমেছে গাজীপুর ফায়ার সার্ভিস বিভাগ। ভোগড়া এলাকার ওয়াসিফ নিট কম্পোজিট লিমিটেড, হাবিবুল্লাহ ভবনের মে ফ্যাশন লিমিটেড ও পেয়ারা বাগান এলাকার সাসটেক্স বিডি লি. কারখানায় এবং চান্দনার শাপলা ম্যানশন ও রহমান শপিং মল এ অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ ব্যানার ঝুলিয়ে দেয়। এরপরও সেসব প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তেমন পাত্তা না দিয়ে বরং অধিকাংশ ব্যানারই খুলে বা ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। যদিও মালিক পক্ষ বলছেন, তারা অগ্নিনিরাপত্তায় নেবেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে নেয়াও আছে কিছু ব্যবস্থা। আবার নানা ধরনের জটিলতায় নিতে পারছেন না ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিস বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান জানান, অনেক ভবন মালিকেরা আইন মেনে ভবন তৈরি করেন নি। যেগুলো অগ্নি আইন না মেনে নিজেদের খেয়াল খুশিমতো তৈরি করা হয়েছে। বার বার চিঠি দিয়েও তাদের সাড়া পাচ্ছে না ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তাগণ। এই জেলা ও মহানগরের প্রায় ৮০ ভাগ শিল্প-কারখানায় অগ্নিঝুঁকি মুক্ত হলেও বাকি ২০ ভাগই এখনো ঝুঁকিপূর্ণ। আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা তৈরি করতে বারবার তাগাদা দেয়া সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষের কথা শুনছে না ভবন মালিকেরা। এমনকি একাধিক ভবনে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যানার ঝুলিয়েও ভবন মালিকদের সচেতন করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি পরিদর্শন করে কয়েকটি কারখানা ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে, সেখানে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে ব্যানার ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। শিগগিরই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তাগণ।

বহুতল ভবন নির্মাণের পর ফায়ার সার্ভিস থেকে অগ্নিঝুঁকি নেই এমন ছাড়পত্র নেয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু নগর ও জেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা অনেক বহুতল ভবনে নেই ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র। আবার অনেকে ছাড়পত্র নিয়েছে ঠিকই কিন্তু নেই আগুন নেভানোর সরঞ্জাম। ভবন নির্মাণের সময় অনেক ভবন মালিক ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র গ্রহণ করলেও অগ্নিপ্রতিরোধ, নির্বাপণ ও নিরাপত্তায় ভবনে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখেননি। এসব কারণে প্রায় প্রতিবছর বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডে মারা যাচ্ছে শ্রমিক আর পুড়ে যাচ্ছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ। নিয়মের মধ্যে এনেই সকল পোশাক কারখানাগুলোকে নিরাপদ করতে হবে, অগ্নিঝুঁকি মুক্ত করতে হবে।

সূত্র : মানবজমিন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়