মাসুদ আলম : রাজধানীবাসীর মধ্যে জঙ্গিবিরোধী জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গণসংযোগ সপ্তাহ পালন করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। তারই অংশ হিসাবে প্রতিটি থানা এলাকার সংশ্লিষ্ট বিট অফিসার এলাকাবাসীকে নিয়ে উঠান বৈঠক, আলোচনা সভা ও পাড়া-মহল্লার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও সভা করে। পাশাপাশি র্যালি করা হয়। এসময় সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদক নির্মূলে পুলিশের পদক্ষেপ ও জনগণের করণীয় বিষয়ের উপর আলোচনা করা হয়।
পুলিশ বলছে, সম্প্রতি শ্রীলঙ্কায় সন্ত্রাসী হামলা এবং বাংলাদেশে ইতোপূর্বে সংঘটিত সন্ত্রাসী ঘটনার পেছনে জাতীয় এবং আর্ন্তর্জাতিক বিভিন্ন অনুসঙ্গ রয়েছে। যার ব্যাপ্তি ও পরিধি ব্যাপক ও বিস্তৃত। এ রকম একটি সমস্যা শুধুমাত্র আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষে নিরসন করা সম্ভব নয়। সর্বসাধারণের ব্যাপক এবং সক্রিয় অংশ গ্রহণের মাধ্যমেই একটি রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বজায় রাখা সম্ভব। তাই গত ২৮ এপ্রিল থেকে গণসংযোগ সপ্তাহ শুরু হয়ে আজ শেষ হয়। তবে এটি চলমান প্রক্রিয়া।
ভাটারা থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, জঙ্গি ও মাদকের বিরুদ্ধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। গণসংযোগের মূল কারণ সচেতনতা সৃষ্টি করা। গণসংযোগ সপ্তাহ শেষ হলেও এটি চলমান প্রক্রিয়া। উঠান বৈঠক ও বিট পুলিশিং অব্যাহত থাকবে। উগ্রবাদ প্রতিরোধে পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয়, রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যম, এনজিও ও সিভিল সোসাইটিকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। সবার সমন্বয়ে একটি নিরাপদ দেশ গঠন করা সম্ভব।
ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারের এডিসি ওবায়দুর রহমান বলেন, গণসংযোগ সপ্তাহ শেষ হলেও জঙ্গিবিরোধী জনসচেতনা মূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। গণসংযোগের ফলে মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। উঠান বৈঠক ও বিট পুলিশিং কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।