মোহাম্মদ মাসুদ : দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা মেটাতে এবং আমদানি নির্ভরতা কমাতে নবায়নযোগ্য শক্তি হতে পারে বায়োগ্যাস প্লান্ট। বায়োগ্যাস উৎপাদনে প্রয়োজন রান্না ঘর, কৃষি, হাট বাজারের বর্জ্য এবং হাঁস মুরগির বিষ্টা। কিন্তু এসব বর্জ্যরে মধ্যে ভুট্টা গাছের বিষ্টায় সবচেয়ে বেশি মিথেন গ্যাস রয়েছে। এসএ টিভি
নোয়াখালীর সুবর্ণচরের প্রত্যন্ত গ্রামে দীর্ঘ দিন গবেষণা চালিয়ে সফল হয়েছেন আব্দুর গোফরান। তিনি বলেন যেখানে গরুর মল, মুরগির বিষ্টা নেই সেখানে খড়কূটা, নাড়া, সবজি এবং গাছের পাতাসহ সব দিয়ে ব্যায়োগ্যাস হতে পারে।
যে কোনো জৈবপদার্থ বায়ুশূণ্য অবস্থায় পঁচে উৎপাদন করে বায়োগ্যাস পাশাপাশি মারা যায় ক্ষতিকর জীবানু। বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ কম, পরিবেশ বান্ধব এবং স্বাস্থ্য সম্মত হওয়ায় ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে এ প্রযুক্তি।
২০২০ সালের মধ্যে সরকার ২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎস থেকে সংগ্রহের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করায় দেয়া হচ্ছে নানা প্রণোদনা। তাই বায়োগ্যাসকে বাণিজ্যিকরণে শিগগিরই গাইডলাইন তৈরি কারা হবে জানান দুই কর্মকর্তা।
বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সিদ্দিক জোবায়ের বলেন, প্রতিটা বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট নির্মাণর জন্য অনুদান দেয়া হচ্ছে ১২ হাজার টাকা । পাশাপাশি স্বল্প সুদে ঋনসহ কারিগরি সুবিধা দেয়া হচ্ছে।
এ্যানার্জি ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, আমরা বায়োগ্যাস গাইডলাইন তৈরি করছি। এটার মাধ্যমে বাংলাদেশে যারা বিনিয়োগকারী, ডেভলোপার এবং যারা ক্ষুদ্র পর্যায়ে আছে প্রত্যেকের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেবো।
বর্তমানে দেশে ১ লাক্ষ ১৫ হাজার বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট রয়েছে।