নুর নাহার : ভিয়েতনামে বাংলাদেশ দূতাবাসে ব্যাপক অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে জড়িয়ে পড়েছেন সাবেক রাষ্ট্রদূতসহ তিনজন কর্মকর্তা। বাড়িভাড়া থেকে কাউন্সিলর ফি, চিকিৎসা, জ্বালানি, ভ্রমণ, আপ্যায়ণ, ডলার কেনা, শুল্কমুক্ত গাড়ির সুবিধা, বিক্রিসহ সব খাতেই বেশ অনিয়মের খোঁজ পেয়েছে সরকারি অডিট টিম। বিদেশিদের সাথে যোগসাজশে প্রায় ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সাবেক রাষ্ট্রদুত সাহাব উল্লাহসহ তিন কর্মকর্তা। অভিযুক্ত রাষ্ট্রদুত অবসরে গেলেও বাকি ২ কর্মকর্তা বহাল আছেন তথ্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে। যমুনা টিভি
ভিয়েতনামে বাংলাদেশ দূতাবাসে সাহাব উল্লাহ রাষ্ট্রদূত ছিলেন ২০১৭ সালের জুলাই পর্যন্ত। সে সময় কাউন্সিলর ছিলেন তথ্য ক্যাডারের আজিজুর রহমান ও হিসাবরক্ষক ছিলেন মো. কামরুজ্জামান। এই আমলের আয় ব্যয়ের হিসাব নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে সরকারি অডিট দল। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ১০০জনের মধ্যে দুই এক জন ঝামেলা করে বদমান ছড়ায়। আমরা ওই ধরণের লোক এই দেখকে চাই না।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড.ইফতেখারুজ্জামান বলেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে অমর্যাদাকর একটি ঘটনা। ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সাবেক অডিটর জেনারেল এম হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, এটি সরাসরি ডাকাতি, বড় ধরণের দুর্নীতি।
তবে এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হোননি সাবেক রাষ্ট্রদূত। পাসপোর্ট ও ভিসা ফির টাকাও ৬ মাস ব্যাংকে জমা দেননি হিসাবরক্ষক। অডিট অফিস বলেন এই দূর্নীতির ফলে শুধু যে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে তা নয়, র্দীঘমেয়াদে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :