শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

প্রকাশিত : ১৪ এপ্রিল, ২০১৯, ১১:০২ দুপুর
আপডেট : ১৪ এপ্রিল, ২০১৯, ১১:০২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মুসা নবির ঘটনা থেকে শিক্ষা

আল-আমিন : চরম বিপদের সময় আল্লাহর রহমতের ওপর ভরসা রাখা অনেক কঠিক কাজ। যাদের প্রতি আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ রয়েছে তার আনুগত্যে অটল ও অবিচল থাকা শুধুমাত্র তাদের দ্বারাই সম্ভব। আর তারা আল্লাহর অনুগ্রহ ও সাহায্য লাভে এভাবে দোয়া করে- ‘রাব্বানা আফরিগ আলাইনা সাবরাওঁ ওয়া তাওয়াফফানা মুসলিমিন।’ অর্থাৎ হে আমাদের রব! আমাদের সবর (ধৈর্য) দান করো এবং তোমার আনুগত্য থাকা অবস্থায় আমাদের দুনিয়া থেকে উঠিয়ে নাও। (সুরা আল-আরাফ : আয়াত ১২৬)

অতীতে যারা তাওহিদের অনুসারি ছিল তারা এভাবেই আল্লাহ তাআলার কাছে আনুগত্যের ওপর অটল থাকতে আশ্রয় চাইতেন এবং আল্লাহর অনুগ্রহ লাভ করতেন। হজরত মুসা আলাইহিস সালাম যখন তাওহিদ বা একত্ববাদের আনুগত্যের দাওয়াত দেয়া শুরু করলেন তখন অত্যাচারী ফেরাউন তাকে বললেন, তুমি যদি সত্য নবি হও তবে তোমার মুজিজা দেখাও। হজরত মুসা আলাহিস সালাম তাঁর হাতের লাঠি মাটিতে ছেড়ে দিলে তা বিরাট অজগর সাপে পরিণত হয়ে ফেরাউনের দিকে ধাবিত হয়। ফেরাউন ভয়ে তার আসন থেকে লাফিয়ে পড়ে বলতে লাগলো- হে মুসা! (আলাইহিস সালাম) তোমার সাপকে টেনে ধর। আমি তোমার ওপর ঈমান আনলাম। হজরত মুসা আলাইহি সালাম তার লাঠি ধরে অজগরকে থামালেন।

অতঃপর ফেরাউন হজরত মুসা আলাইহিস সালামকে বললো, হে মুসা! তুমি কে আমি কি তা বলব? হজরত মুসা আলাইহিস সালাম বললেন, হ্যাঁ, বলুন। তখন সে বলল, তুমি তো সেই ব্যক্তি যে আমার কাছে লালিতপালিত হয়ে বড় হয়েছিলে। অতঃপর ফেরাউন হজরত মুসা আলাইহিস সালামকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়ে তার সম্রাজ্যের সব জাদুকরকে সংবাদ দিলেন।

তাফসিরের সূত্র মতে, ফেরাউন ৭০ হাজার জাদুকরকে সংবাদ দিয়েছিলেন। সে সংবাদে ১৫ হাজার মতান্তরে ৩০ হাজার জাদুকর উপস্থিত হয়েছিল। প্রত্যেকের সঙ্গে ছিল দঁড়ি এবং লাঠি। জাদুকররা হজরত মুসা এবং তাঁর ভাই হারুন আলাইহিস সালামকে নজরবন্দি করে দঁড়ি এবং লাঠি মাঠে ফেলায় সব দঁড়ি এবং লাঠি সাপে পরিণত হলো। সাধারণ মানুষ এবং হজরত মুসা ও তার ভাই ভীত হলেন। আল্লাহ তাআলা হজরত মুসা আলাইহিস সালামকে বললেন, ‘হে মুসা! আপনি ভয় করবেন না। আপনি জয় লাভ করবেন। আপনি হাতের লাঠিটি মাটিতে ফেলে দিন।’ হজরত মুসা আলাইহিস সালাম যখন তার হাতের লাঠিটি মাটিতে ফেললেন। তাঁর লাঠি বিশাল বড় এক সাপে পরিণত হয়ে মাঠে কিলবিল করা সব সাপকে খেয়ে ফেলল।

জাদুকররা হজরত মুসা আলাইহিস সালামের মুজিজা দেখে নিঃসন্দেহে বিশ্বাস করল যে, তিনি আল্লাহর সত্য নবি। তারা বললো- ‘হজরত মুসা আলাইহিস সালাম যদি জাদুকর হতেন। তবে আমাদের সঙ্গে পারতেন না। তারা তখনই সেখানে সিজদায় লুটিয়ে পড়লেন এবং আল্লাহ ও হজরত মুসা আলাইহিস সালামের ওপর ঈমান আনলেন।’

এ অবস্থা দেখে ফেরাউন জাদুকরদের বললেন- তোমরা আমার অনুমতি ব্যতিত ঈমান আনলে। পাশাপাশি তাদেরকে বিভিন্ন শাস্তির কথা বলায়- প্রচণ্ড ক্ষমতার অধিকারী ফেরাউনের অত্যাচার থেকে নিজের ঈমানকে হেফাজতের জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়ে উল্লেখিত দোয়া পড়লেন। সুতরাং আমাদের উচিত চরম অত্যাচার নির্যাতন ও বিপদের সময় মহান আল্লাহর কাছে তাঁরই শেখানো ভাষায় দোয়া করা। নিজেদের ঈমানকে হেফাজত করা। আল্লাহর আনুগত্যে অটল ও অবিচল থাকা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়