কেএম নাহিদ : জলবায়ুও পানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত বলেন, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা এনজিও এবং বিশেষজ্ঞদের মতো আমরাও শংকিত। কারণ বর্ষাকালীন অতিবৃষ্টি, ঝড়-জলোচ্ছাস, ভূমিধসের ঝুঁকিতে রয়েছে লাখ লাখ রোহিঙ্গা। তাদের নিরাপদ বসবাস ও জীবনের নিরাপত্তর বিয়ষটি উপেক্ষিয় নয় তিনি বলেন। টেকনাফের দক্ষিনও কুতুপালং নিচু এলাকা জলোচ্ছাসের ভয় থেকেই যায়। আগাম প্রস্তুতিমূলক যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তা যথেষ্ট ও পর্যাপ্ত নয় । সোমবার ভয়েস অব আমেরিকার সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বর্ষায় ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। গতবার ঘূর্নিঝড় হয়েছে তবে জলোচ্ছাস না হওয়ায় রক্ষা পেয়েছিলো। ভূমিধস, জলোচ্ছাস, ঘড় বাড়ি নষ্টসহ নানা রকম ঝুঁকির আশংকা আছে। দক্ষিন এলাকার আর টেকনাফের কিছু এলাকা জলাবদ্ধতার আশংকা আছে। কারণ ওই সব এলাকার বাঁধ ১৫ ফুট উঁচু নয়। সেখানের যে সাইক্লোন শেল্টার আছে তাতো আর রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির কথা মাথায় রেখে করা হয়নি। তাই সাইক্লোন শেল্টারের সংখ্যা বাড়াতে হবে। কুতুপালয়ে জলোচ্ছাসের আশংকা যেহেতু নিচু এলাকা।
তিনি বলেন, আগাম প্রস্তুতিমূলক যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তা যথেষ্ট ও পর্যাপ্ত নয় বলে অনেক সংস্থাই উদ্বেগ ও শংকা প্রকাশ করেছে। যদিও বাংলাদেশ সরকার এবং অন্যান্য সংস্থাসমূহ কিছু কিছু প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা এরই মধ্যে গ্রহণ করেছে।