অনলাইন ডেস্ক : ২. শান্তির দেশ হিসেবেই পরিচিত নিউজিল্যান্ড। এই দেশে অপরাধের রেকর্ড খুবই কম। সারা বছরে খুন, চুরি-ডাকাতির সংখ্যা হাতে গোনা। ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিসের সর্বশেষ ২০১৮ সালের জরিপে বিশ্বের দ্বিতীয় শান্তির দেশ হিসেবে উঠে এসেছে নিউজিল্যান্ড। রেকর্ড অনুযায়ী, গত বছর দেশটিতে মোট খুনের ঘটনা ঘটেছে ৩৫টি। সেই দেশেই এবার কয়েক মিনিটের ব্যবধানে দুই মসজিদে গুলি চালিয়ে কমপক্ষে ৪৯ জনকে হত্যাকরেছে ধর্মীয় উগ্রপন্থি সন্ত্রাসীরা। দেশ রূপান্তর।
৩. নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্যান্য অপরাধের তুলনায় গুলি করে হত্যার ঘটনা নিউজিল্যান্ডে বিরল। গত এক দশকে গুলি করে খুনের সংখ্যা দুই অঙ্কেও পৌঁছায়নি। ২০০৯ সালে গুলি করে একসঙ্গে ৯ জন খুনের ঘটনা ঘটে। সেটা ছিল ব্যক্তিগত বিবাদের জেরে। এরপর আর কোনো গণহত্যা দেখেনি দেশটির বাসিন্দারা।
৪. ৫০ লাখ জনসংখ্যার এই দেশে বর্তমানে লাইসেন্সকৃত বন্দুক আছে ১২ লাখ বাসিন্দার কাছে। এত মানুষের হাতে বন্দুক থাকা সত্ত্বেও খুনের সংখ্যা হাতে গোনা এ থেকেই পরিষ্কার, সেখানকার বাসিন্দারা শান্তিপ্রিয় মানসিকতার। তবে এবারের ঘটনা দেশটির সেই শান্তিপ্রিয়তার চিত্র পাল্টে দিল।
৫.দুই মসজিদে মুসলিমদের প্রার্থনার সময় পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। অথচ নিউজিল্যান্ডে মোট জনসংখ্যার মাত্র এক শতাংশ মুসলিম। এর মধ্যে আবার চার ভাগের তিন ভাগই অন্য দেশ থেকে যাওয়া, জন্মসূত্রে নিউজিল্যান্ডের নাগরিক নন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী অবশ্য আশা করছেন, এ ঘটনার পর জনগণের মধ্যে কোনো বিভেদ তৈরি হবে না। ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে তিনি নিজ দেশের নাগরিক বলে অভিহিত করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :