শিরোনাম
◈ নির্বাসন শেষে প্রত্যাবর্তন: তারেক রহমানের ফেরা কি রাজনৈতিক মোড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত? ◈ রিটার্ন দাখিলের সময় আরও একমাস বেড়েছে ◈ লটারিতে সাজা‌নো মাঠ প্রশাসন দি‌য়ে সুষ্ঠু নির্বাচন কি সম্ভব?  ◈ ২০২৬ সালে চাঁদে পা রাখবে পাকিস্তান ◈ দুবাই ক্যাপিটালসে মুস্তাফিজের বিকল্প কে এই কলিম সানা? ◈ সংস্কার প্রশ্নে জামায়াত-এনসিপি একমত, নির্বাচনী সমঝোতার ব্যাখ্যা দিলেন আখতার হোসেন ◈ জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতা করলে এনসিপিকে কঠিন মূল্য চুকাতে হবে: সামান্তা শারমিন ◈ আজ শপথ নেবেন দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ◈ আরপিও সংশোধনের ধাক্কা: বিএনপিতে যোগ দিতে বিলুপ্ত হচ্ছে ছোট দল? ◈ দেশজুড়ে শীতের দাপট বাড়বে, আসছে শৈত্যপ্রবাহ ‘কনকন’

প্রকাশিত : ১৫ মার্চ, ২০১৯, ১২:০১ দুপুর
আপডেট : ১৫ মার্চ, ২০১৯, ১২:০১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দূষিত পানিতে ঢাকার বাজার সয়লাব

আসিফ হাসান কাজল: ঢাকা শহরের বাসা বাড়ি থেকে শুরু করে অবৈধভাবে জায়গা ভাড়া করে কারখানা বসিয়ে পরিশুদ্ধ ছাড়াই বাজারে জারে করে পানি ছাড়ছে একাধিক পানি বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান। আদতে এই সকল কোম্পানীর ল্যাব থেকে শুরু করে কোন নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই পরিশুদ্ধ ছাড়াই বাজারে সর্বত্র দূষিত পানি বিক্রয় করছে একাধিক প্রতিষ্ঠান। যা পৌছে যাচ্ছে অফিস থেকে বাসাবাড়ি পর্যন্ত।

বৃহস্পতিবার ঢাকার ঝাউচর এলাকায় এস এম ফুড এণ্ড বেভারেজ নামে একটি পানি পরিশুদ্ধ প্রতিষ্ঠানে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সরকারি কোন অনুমোদন ছাড়াই পানি উৎপাদন থেকে শুরু করে বাজারজাত করছে প্রতিষ্ঠানটি। এমনকি এই পানি পরিশুদ্ধতার নামে প্রতিষ্ঠানে নেই কোন উপযুক্ত ল্যাব। কোন প্রকার বিএসটিআই অনুমোদন ছাড়াই কিভাবে পানি বাজারে ছাড়ছেন এই প্রশ্নে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক সাহাব উদ্দিন বলেন, আমাদের বিএসটিআই অনুমোদন ছিল বর্তমানে লাইসেন্সটি নবায়ন করা হয় নাই। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, গড়ে প্রতি জার পানি ৮-১০ টাকায় পাইকারী ভাবে বিক্রয় করে বাজারজাত করছে তারা।

পশ্চিম পান্থপথের আইনাল টি স্টোরের দোকানী জানান, আমরা প্রতি জার পানি ৫০ টাকা করে ক্রয় করি।

এদিকে ধানমন্ডির একটি ফুটপাতের দোকানী আরিফ হোসেনকে জারের পানি প্রতি গ্লাস ২ টাকা করে বিক্রি করতে দেখা যায়, এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি আমার বন্ধুর পানির কোম্পানী বলে আমার কাছ থেকে ৪০ টাকা করে প্রতি জার নিয়ে থাকে। পানির বি এস টি আই অনুমোদন আছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এসব আমি কিছু জানিনা। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া জারের পানি পানকারী রাসেল রানাও এসব নিয়ে তেমন কিছু জানেন না বলে আমাদের সময় ডটকমকে জানান।

এই ব্যাপারে বিএসএমএমইউ চিকিৎসক ডাঃ আহসান হাসিব সৌরভ বলেন, এই ধরণের পানি পান করলে মানুষের হেপাটাইটিস রোগ ছাড়াও ডায়রিয়া,আমাশয় ছাড়াও পেটের বিভিন্ন রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই ব্যাপারে বিএসটিআই কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজা জানান, এই ব্যাপারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই কোম্পানীর বিরুদ্ধে অচিরেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও বলেন, যেহেতু গরমে পানির চাহিদা বেড়ে যায় তাই সর্ব সাধারণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জারের গায়ে বিএসটিআই ছিল ছাড়াও কোম্পানীর নাম লেখা থাকবে। এই ব্যাপারে তিনি সকলকে সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়