শিরোনাম
◈ দেশের উন্নয়ন দেখে বিএনপি’র মাথা খারাপ হয়ে গেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ যুক্তরাষ্ট্র স্মার্ট প্রাণিসম্পদ প্রকল্পে ৩৪ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিবে ◈ সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ হলে কাঁচাবাজারে দাম কমবে: সাঈদ খোকন ◈ নরসিংদীতে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় মা-ছেলেসহ চারজন নিহত ◈ রোববার থেকে আবার গাউন পরতে হবে আইনজীবীদের ◈ সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে বাধা নেই: ডেপুটি গভর্নর ◈ জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন: রাষ্ট্রপতি ◈ দেশের জিডিপির পূর্বাভাস কমালো জাতিসংঘ, চিন্তা মূল্যস্ফীতি নিয়ে ◈ আমি ইন্ডিয়া জোটেই আছি: মমতা  ◈ হিজবুল্লাহ’র হামলায় ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে: গ্যালান্ট

প্রকাশিত : ১৪ মার্চ, ২০১৯, ১১:১৪ দুপুর
আপডেট : ১৪ মার্চ, ২০১৯, ১১:১৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনায় নির্বিচারে জাটকা নিধন

মিজান লিটন, চাঁদপুর: চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনায় মাছের অভয়াশ্রম চলাকালীন নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা নিধন অব্যাহত রয়েছে। নিষেধাজ্ঞার এই দু’ মাস সরকারি সহায়তা পাওয়ার পরও অসাধু জেলেরা জাটকা ধরা থেকে বিরত থাকেনি। কোনোভাবেই তাদের দমানো যাচ্ছে না। প্রতিদিনই অভিযানে আটক হচ্ছে জেলে, জাল এবং জাটকা। গত ১ মার্চ থেকে শুরু হয় চাঁদপুর নদী এলাকায় জেলেদের মাছ না ধরার দুই মাসের নিষেধাজ্ঞার সময়।

কিন্তু সরজমিনে দেখা গেছে, চাঁদপুরের ইলিশ অধ্যুষিত পদ্মা-মেঘনার বিভিন্ন স্থান দিয়ে বিপুল পরিমাণে জাটকা ধরছে জেলেরা। জেল-জরিমানার তোয়াক্কা না করে তারা জাটকা শিকার করছে। আর চিহ্নিত অসাধু জাটকা ব্যবসায়ীরা কৌশলে বিভিন্ন বাজারে ও গ্রামের বাড়ি বাড়ি ঢুকে এসব জাটকা বিক্রি করছে।

জেলা টাস্কফোর্স মেঘনা ও পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে এরই মধ্যে বেশ কিছু কারেন্ট জাল, জাটকা ও ইঞ্জিন চালিত নৌকা জব্দ করেছে।
জাটকা রক্ষায় একদিকে প্রতিদিন চলছে নদীতে অভিযান, পাশাপাশি প্রতিদিন রাতের অন্ধকারে ধরা হচ্ছে প্রচুর জাটকা।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, হাইমচর থেকে চাঁদপুর সদরের আখনের হাট, নন্দীগো দোকান ও ইব্রাহীমপুর চর এলাকায় মেঘনা নদীর অংশ জাটকা বিচরণের ক্ষেত্র। এসব স্থান দিয়ে সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত একশ্রেণির জেলে নামধারী দুর্বৃত্ত আধা ঘন্টা একঘন্টা সময় নিয়ে জাল ফেলে জাটকা ধরছে। অতঃপর তারা নিজেদের এলাকার নিরাপদ জায়গায় চলে যাচ্ছে।

মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ ও চাঁদপুর সদর উপজেলা এবং শরীয়তপুর জেলার চরাঞ্চলের জেলেরা সবচেয়ে বেশি জাটকা ধরছে। শরীয়তপুরের চিরারচর, শিলারচর, তারাবুনিয়া চর, হাইমচরের চর মনিপুর, মাঝের চর, মতলবের বোরোচর, চরকাশিম, চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন যমুনা রোড, টিলা বাড়ি, পুরাণবাজারের রনাগোয়াল, বাবুর্চিঘাট, দোকানঘর গুচ্ছ গ্রাম, চাঁদপুর সদরের রাজরাজেশ্বর চর, ইব্রাহীপুর চর, কানুদী, সাখুয়া, বহরিয়া, লক্ষ্মীপুর নন্দেশ খা খাল, হরিণা ফেরিঘাট সংলগ্ন খাল, আনন্দ বাজার, নন্দীর দোকান ও আখনের হাট চরসহ আরো অনেক জায়গায় নদীরপাড় হচ্ছে জাটকার চিহ্নিত স্পট। ভোর বেলায় বিক্রি করার জন্যে এসব স্থানে রাতের বেলা থেকে পাত্র নিয়ে নদীর পাড়ে ওঁৎ পেতে থাকে জাটকার হকাররা। অনেকে সিএনজি স্কুটার ও অটোবাইকযোগে জাটকা পাচার করছে।

চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সহ-সভাপতি রোটাঃ আঃ বারী জমাদার মানিক বলেন, নদীর বিভিন্ন স্থান দিয়ে ব্যাপক হারে জাটকা ধরা হচ্ছে। এমনিতেই আগের বছরের তুলনায় গেলো মৌসুমে ইলিশের উৎপাদন কম হয়েছে। এবার শুরুতে যে হারে জাটকা নিধন হচ্ছে, তাতে ইলিশের বড় ক্ষতি হবে। প্রয়োজনে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে জাটকা নিধন বন্ধের ব্যবস্থা নিতে হবে।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান জানান, জাটকা নিধন প্রতিরাধে প্রশাসনের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকী জানান, প্রতিদিনই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। জাল, মাছ ও নৌকা জব্দ করা হচ্ছে। জেলেদের আটক করে কারাদন্ড দেয়া হচ্ছে। গত ১১ দিনে ২৫ জন জেলেকে আটকের পর বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। কিন্তু জেলেদের কোনোভাবেই পুরোপুরি নদীতে নামা থেকে বিরত রাখা যাচ্ছে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়