শিরোনাম
◈ আইন সংশোধন, নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তি ও প্রশিক্ষণে আটকে নির্বাচন পরিকল্পনা ◈ খামেনির বিরুদ্ধে ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ পরিকল্পনা বন্ধ করলেন ট্রাম্প? ◈ ডিজিটাল বাংলাদেশে নতুন মাইলফলক: সার্টিফিকেট সত্যায়ন এখন অনলাইনেই (ভিডিও) ◈ রাতের আকাশে আগুন! ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রে কাঁপছে ইসরায়েল ◈ ইসরায়েলে আঘাত করা ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে যা জানা গেল ◈ অধ্যাপক ইউনূসের যুক্তরাজ্যে 'সরকারি সফর' থেকে কী অর্জন হলো ◈ ইরানে বিদ্রোহের ইঙ্গিত সাবেক যুবরাজ রেজা পাহলভির: ইসরায়েল-যুদ্ধ পরবর্তী ‘রেজিম চেঞ্জ’ পরিকল্পনার আভাস ◈ ভুটানসহ আরও ৩৬ দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে, বাকি দেশ গুলোর নাম হলো ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার আসল কারণ যা জানাগেল! ◈ ইরান প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন চালু

প্রকাশিত : ১২ মার্চ, ২০১৯, ০২:৫৯ রাত
আপডেট : ১২ মার্চ, ২০১৯, ০২:৫৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আইনমন্ত্রী বললেন, জামায়াতের বিচারে সংশোধিত আইন মন্ত্রিসভায় ওঠার অপেক্ষায়

আবুল বাশার নূরু: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদনের জন্য তা মন্ত্রিপরিষদের সভায় উত্থাপনের অপেক্ষায় রয়েছে।

সোমবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে একাত্তরে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি কর্তৃক আয়োজিত ‘নির্বাচনি ইশতেহারে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা: সরকার ও নাগরিক সমাজের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আনিসুল হক বলেন, আমি অনেকবারই বলেছি, এখনও বলি, এ আইনটা মন্ত্রিপরিষদের সভায় উত্থাপনের অপেক্ষায় আছে। আপনারা একটু অপেক্ষা করেন। এটা মন্ত্রিপরিষদ সভায় খুব শিগগরিই উত্থাপন করা হবে।

বৈষম্য বিলোপ আইন পাসের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী জানান, এটা নিয়মে কাজ চলছে। আগামী এপ্রিল বা মে মাসে সংসদ বসবে। আইন পাসের জন্যই মূলত সংক্ষিপ্ত অধিবেশনটি হবে। আশা করি এটা (বৈষম্য বিলোপ আইন) ওই সময়ে সংসদে উপস্থাপন করতে পারবো। সে লক্ষেই আমরা কাজ করছি।

এর আগে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী বলেন, সংখ্যালঘুদের জন্য কমিশনের দাবি কেন উঠলো? দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু যখন দেশে ফিরলেন, সংবিধান দিলেন এমনকি দেশ পরিচালনা করছিলেন তখন কিন্তু এ রকম কোনও কমিশনের দাবি ওঠে নাই। আজকে ৪৮ বছর পরে এই কমিশনের দাবি কেন? এই কমিশনের দাবি উঠেছে মূলত ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্টের কালরাতের পরে। ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছর এবং তার আগে ২৬ বছরে সংখ্যালঘুদের ওপর যে নির্যাতন চলেছে, সেই সময়ে কেউ কথা বলতে পারতো না। কোনও বিচার তারা পায়নি। আজকে এই পুঞ্জীভূত অপরাধগুলো এমন একটা অবস্থায় গেছে, যেখানে বিচারের হাহাকারের কারণেই আজ এই কমিশনের দাবি উঠেছে।

আনিসুল হক বলেন, আমরা দেখেছি বিচার বিভাগও কিন্তু এই বিচারগুলো দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তার কারণ হচ্ছে, ১৯৭৫ সালের পর ২০০৬ পর্যন্ত এই ২৬ বছর সংখ্যালঘুরা বিচার বিভাগের কাছে যেতে পারেনি বিচার পাওয়ার জন্য।

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা সদস্য বিচারপতি শামসুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, অধ্যাপক মুননতাসীর মামুন, কান্তিবন্ধু ব্রক্ষ্মচারী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান ফাদার ড. তপন ডি রোজারিও, বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দ প্রিয় প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের উপদেষ্টা আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এ এইচ শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়