শিরোনাম
◈ অবৈধ বাংলাদেশিদের দ্রুত ফেরত পাঠাবে ব্রিটেন  ◈ কুমিল্লায় বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিহত ৫, আহত ৭ ◈ নাইজেরিয়ায় মসজিদে তালা দিয়ে আগুন, ১১ মুসল্লির মৃত্যু ◈ র‌্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হচ্ছে, এমন দাবি মিথ্যা: যুক্তরাষ্ট্র ◈ শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ ◈ স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রীর প্রাণহানি চেষ্টার নিন্দা জানালেন শেখ হাসিনা ◈ শেখ হাসিনাকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন  ◈ আইনি সহায়তা দিতে ‘পরামর্শ কর্মকর্তা’ নিয়োগ দেবে সরকার ◈ মিঠাপানির ঝিনুকে উৎপাদিত মুক্তার গহনা প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর  ◈ কোরবানিতে চাহিদার চেয়ে পশু বেশি: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রকাশিত : ০২ মার্চ, ২০১৯, ০৯:৪০ সকাল
আপডেট : ০২ মার্চ, ২০১৯, ০৯:৪০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কাশ্মীর সংকট নিরসনে ভারতের আলোচনার উদ্যোগ নেয়া উচিত, বললেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ

মারুফুল আলম : যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আলী রীয়াজ মনে করেন, কাশ্মীরের অভ্যন্তরীণ সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনাই হবে সংকট নিরসনের একমাত্র পথ। যাদেরকে বিচ্ছিন্নতাবাদী মনে করা হয় এমনকি যারা কাশ্মীরের স্বাধীনতা চায় তাদের সঙ্গে আলোচনা করাও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধান দায়িত্ব হওয়া উচিত বলে মনে করেন আলী রিয়াজ। বিবিসি বাংলা।

তিনি বলেন, দেখা যাচ্ছে, ভারত এবং পাকিস্তান দু’পক্ষই নিজের মতো করে সমাধান চায়। ভারতের নিয়ন্ত্রণে দুই তৃতীয়াংশ। তারা মনে করে, অব্যাহত এই অবস্থা বজায় রাখার জন্য ভারতের শক্তি প্রয়োগ করা উচিত। ওদিকে পাকিস্তান মনে করে, এই অস্থির অবস্থার অবসান করা দরকার। সেজন্য তারা সেখানে জঙ্গি সংগঠনগুলোকে পাঠায়। তাদের ধারণা, ক্রমাগত অস্থিরতা বিরাজমান থাকলে রাজনৈতিক এবং সামাজিকভাবে সেখানে ভারতের প্রভাব বিস্তারের সুযোগ নষ্ট এবং বিষয়টি পাকিস্তানের প্রত্যাশা পূরণে সহায়ক হবে।

জঙ্গীগোষ্ঠীগুলোকে পাকিস্তান মদদ দিচ্ছে ভারতের এমন ভাবনা তৈরি হবার কারণ কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৯০ এর দশক থেকেই পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত জঙ্গি সংগঠনগুলো ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের ভেতরে সন্ত্রাসী তৎপরতা চালিয়ে আসছে। ওখানে এমন গোষ্ঠীও আছে, যারা পাকিস্তানে থাকতে চায়, একইসঙ্গে ভারতেও থাকতে চায়। পাশাপাশি এমন গোষ্ঠীও আছে, যারা ভারতীয় রাষ্ট্রকাঠামোর অধিকার প্রতিষ্ঠা করে থাকতে চায়। কাশ্মীরের আভ্যন্তরীণ ‘অধিকার আন্দোলন’কে পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোকে পাকিস্তান সেখানে পাঠায়।

ভারত কাশ্মীর সমস্যার কূটনৈতিক বা রাজনৈতিক সমাধানে যতটুকু আগ্রহী, তার চেয়ে সামরিক শক্তি প্রয়োগে একটি সমাধান তৈরি করতে চায়, এর কারণ হিসেবে আলী রীয়াজ বলেন, এটা সত্য। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের ২০১৭-১৮ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ১৯৯০ থেকে সরকারি হিসেবে বেসামরিক লোক মারা গেছে ১৪ হাজার। নিরাপত্তা রক্ষী মারা গেছে ৫ হাজারের বেশি। এ কারণেই তারা সামরিক শক্তি প্রয়োগে আগ্রহী বেশি।

তবে এ কারণে জঙ্গি তৎপরতা বেড়েছে উল্লেখ করে অধ্যাপক রীয়াজ বলেন, প্রতি ১ হাজার লোকের জন্য ৫৯ জন সৈন্য নিয়োগ আসলে রাজনৈতিক সমাধানের জন্য কোনোভাবেই ইতিবাচক নয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়